HS New Semester Syllabus: উচ্চমাধ্যমিকে এই বছরেই সেমেস্টার? নতুন সিলেবাসে প্রাথমিক অনুমোদন মিলল

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে বাংলায় একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে কি সেমেস্টার পদ্ধতি চালু হবে? সবদিক ঠিকঠাক থাকলে যারা এবার মাধ্য়মিক পাস করবেন তারা একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে মোট চারটি পরীক্ষা দিতে হবে। তবে এখনও এব্য়াপারে চূড়ান্ত কিছু হয়নি। তবে সূত্রের খবর, সিমেস্টার পদ্ধতি চালু করা হলে পাঠ্যক্রমের কিছু রদবদল হতে পারে। সেক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ বিকাশ ভবনে সেই সংক্রান্ত সিলেবাস পাঠিয়েছে। তবে বিকাশভবনে আপাতত সম্মতি দিয়েছে বলে খবর। 

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এনিয়ে জানিয়েছেন, মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে এনিয়ে আলোচনা করা হবে। বিধানসভার অধিবেশন শেষ হওয়ার পরে এই আলোচনা করা হবে। তারপরই এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত করা হবে।

সেমেস্টার পদ্ধতিতে উচ্চমাধ্যমিক। গত কয়েকমাস ধরেই এনিয়ে নানা জল্পনা ছড়িয়েছিল। তবে সেটা বাস্তবায়িত হওয়ার ক্ষেত্রে কয়েকধাপ এগিয়েছে উচ্চমাধ্য়মিক শিক্ষা সংসদ। এমনকী  তার সিলেবাস নিয়ে প্রাথমিক সম্মতিও মিলেছে।

এই সেমেস্টার পদ্ধতিতে উচ্চমাধ্য়মিকের পাঠক্রম হলে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে হবে প্রথম সেমেস্টার, ২০২৫ সালের মার্চ মাসে হবে একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমেস্টার। এরপর ২০২৫ সালের নভেম্বর মাসে হবে দ্বাদশ শ্রেণির  প্রথম সেমেস্টার। এরপর ২০২৬ সালের মার্চ মাসে হবে দ্বিতীয় সেমেস্টার। এইভাবেই সিমেস্টারগুলিকে ভাগ করা হচ্ছে। এদিকে নিয়ম মেনে একাদশ শ্রেণির দুটি সেমেস্টার নেবে স্কুল। মানে স্কুলের আওতায় এই গোটা বিষয়টি থাকবে। তবে দ্বাদশ শ্রেণির দুটি সেমেস্টার নেবে বোর্ড অর্থাৎ উচ্চমাধ্য়মিক শিক্ষা সংসদ। এক্ষেত্রে পড়ুয়াদের এই সেমেস্টার পদ্ধতিতে কতটা সুবিধা হবে সেটাও দেখার।

তবে বর্তমানে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বিভিন্ন পাঠক্রমে সেমেস্টার ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এবার অনেকটা তেমনভাবেই সেমেস্টার ব্যবস্থা চালু হতে যাচ্ছে উচ্চমাধ্যমিকে। তবে অনেকেরই মতে সেমেস্টার পদ্ধতি চালু হলে ধাপে ধাপে তার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবেন পড়ুয়ারা। 

উচ্চমাধ্যমিক সিলেবাস রিভিউ কমিটির সঙ্গে দ্বিতীয় বৈঠকের পরে সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য আগেই জানিয়েছিলেন, ‘সব বিষয়েই সিলেবাস পূনর্মূল্যায়নের কাজ আশাব্যঞ্জক। সরকারের অনুমতি পেলেই তা চালু করা হবে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে।’

হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, সিলেবাস এবং পাঠক্রমের আমূল পরিবর্তন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে। প্রতিটি বিষয় শেখবার জন্য অন্তত ২০০ ঘন্টা সময় বরাদ্দের প্রস্তাব আনার হচ্ছে। এর ভিত্তিতেই এক একটি অধ্যায়ের ক্ষেত্রে সময় বিভাজন করা হবে। এই বছর যারা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী, তারা মাধ্যমিক পাশ করে একাদশ শ্রেণিতে উঠলেই ২০২৪ সাল থেকে শুরু হতে চলেছে রাজ্যের এই নতুন পাঠক্রম। সেমেস্টার সিস্টেমের ক্ষেত্রেও রয়েছে বড়সড় চমক। নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রথম সেমেস্টার পরীক্ষায় থাকবে কেবলমাত্র এমসিকিউ। ওএমআর শিটে উত্তর দিতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। অন্যদিকে মার্চ মাসে দ্বিতীয় সেমেস্টারের ক্ষেত্রে সংক্ষিপ্ত, অতি সংক্ষিপ্ত এবং বড় ধরনের প্রশ্ন থাকবে। এরপর নভেম্বর এবং মার্চের দুটি সেমেস্টারের ফলাফল সামগ্রিক ভাবে বিচার করে একাদশ শ্রেণির ফলাফল প্রকাশিত হবে একজন শিক্ষার্থীর।