Niki on Indian Diplomacy: মার্কিন নেতৃত্বে আস্থা নেই ভারতের, রুশ ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে কৌশলে খেলছে ভারত- নিকি হ্যালে

ভোটমুখী আমেরিকা। ধীর ধীরে সেখানে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে সরগরম হচ্ছে রাজনৈতিক জমি। ইতিমধ্যেই রিপাবলিকান প্রার্থী হিসাবে নেভাদা ককাসে দাপুটে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এককালে তাঁরই প্রশাসনে থাকা নিকি হ্যালে এই রাষ্ট্রপতি ভোটের দৌড়ে রিপাবলিকানদের অন্যতম মুখ। নেভাদা ককাস থেকে নিকি হ্যালে যদিও দাঁড়িয়েছেন সরে। তবে পররাষ্ট্র ইস্যুতে নিকি ইতিমধ্যেই মুখ খুলে ভারতের কৌশল নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তাবড় কূটনীতিবিদ নিকি হ্যালে সদ্য এক মন্তব্যে ভারতের কূটনীতি নিয়ে বক্তব্য পেশ করেছেন। 

ফক্স বিজনেজ নিউজের এক সাক্ষাৎকারে ভারত-মার্কিন বংশোদ্ভূত রাজনীতিবিদ নিকি হ্যালে কার্যত ভারতকে নিয়ে বেসুরো সুর ধরেই বলেছেন, মার্কিনি নেতৃত্বে আস্থা নেই ভারতের, আর এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার সঙ্গে দিল্লি ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে কৌশলী চাল চেলেছে। প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগের অবস্থার দিকে তাকালে দেখা যাবে, খলিস্তানি ইস্যুতে কানাডার পর আমেরিকাও বড়সড় অভিযোগের আঙুল তোলে দিল্লির দিকে। মার্কিন মাটিতে পান্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্র ভারতের এক এজেন্ট করেছে, এমন অভিযোগে সরব হয় বাইডেন প্রশাসন। পাল্টা ভারত তা নস্যাৎ করে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই কয়েক মাস আগে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর গিয়েছিলেন রাশিয়ায়। তিনি সেখানে পুতিনের সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎও করেন। ইউক্রেন-রুশ যুদ্ধের মাঝে ও আমেরিকা-কানাডার সঙ্গে ভারতের সাম্প্রতিক সম্পর্কের মাঝে জয়শঙ্করের এই সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেছেন অনেকেই। যেখানে রাশিয়ার কণ্ঠে বারবার মার্কিন বিরোধিতা ও পশ্চিমী দেশগুলির বিরোধিতা শোনা গিয়েছে, সেখানে মস্কোর সাক্ষাৎকারে জয়শঙ্করকে পুতিন বলেছিলেন, যাতে তাঁর দেশে খুব শিগগরিই মোদী সফর করেন। 

এদিকে, মার্কিন রাষ্ট্রপতি হওয়ার দৌড়ে থাকা রিপাবলিকান প্রার্থী নিকি হ্যালে বলছেন, ‘ আমিও ভারতের সঙ্গে কাজ করেছি। আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি, আমি ভারতের সঙ্গে কাজ করেছি। আমি মোদীর সঙ্গে কথা বলেছি। ভারত আমাদের সঙ্গে কাজ করতে চায়। তারা রাশিয়ার সঙ্গী হতে চায় না।’ একথা বলার পরই নিকি বলছেন, ‘সমস্যা হল, ভারত চায়না আমরা জিতে যাই। এখন তারা মনে করে যে আমরা দুর্বল। ভারত চিরকালই খুব কৌশলীভাবে খেলেছে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ থেকে। কারণ সেদেশ থেকেই তারা প্রচুর সামরিক অস্ত্র পায়।’ নিকির মতে, চিনের আর্থিক অবস্থা ভালো নেই। তারা আমেরিকার সঙ্গে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মত নিকির।