বিজেপি বিধায়কদের রাজভবন অভিযানের পরেই সন্দেশখালি নিয়ে তৎপর হলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যকে চিঠি লিখে সন্দেশখালিতে মহিলাদের ওপর নির্যাতনের দ্রুত পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ব্যক্তিগত সফরে গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের বাইরে রয়েছেন রাজ্যপাল। রবিবার তাঁর কলকাতা ফেরার কথা।
সূত্রের খবর, রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকাকে লেখা চিঠিতে রাজ্যপাল লিখেছেন, সন্দেশখলিতে মহিলাদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর ও উদ্বেগজনক। অবিলম্বে রাজ্য সরকার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে বলে প্রত্যাশা করি।
আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজের টাকা সরাতে TMCর সঙ্গে হাত মিলাইনি, তাই বাড়িতে হামলা
বলে রাখি, শনিবার দুপুরে বিধানসভা থেকে মিছিল করে রাজভবনে যান বিজেপি বিধায়করা। নেতৃত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজভবনে পৌঁছে সন্দেশখালিকাণ্ডে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চেয়ে তাঁর OSDকে দাবিসনগদ হস্তান্তর করেন তিনি। এর পর রাজভবনের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘আমরা রাজ্যপালের কাছে আবেদন নিয়ে আসিনি। সংবিধানের তিনি প্রধান। তিনি আক্রান্তদের নিরাপত্তা দিতে বাধ্য। রাজ্যপাল আজ কেরল থেকে ফিরবেন। আমাদের দাবি, উনি কালকের মধ্যে এলাকায় পৌঁছন। ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করুন। ইন্টারনেট চালু করুন। মমতা পুলিশ ব্যর্থ হলে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে জনগণের মানবাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করুন। বিজেপি কোনও ভাবে জনগণের সংগঠিত প্রতিবাদকে পুলিশকে ব্যবহার করে পদদলিত করতে দেবে না। ভারতীয় জনতা পার্টির বিধায়করা সোমবার বিধানসভায় জড়ো হয়ে ১৪৪ ধারা ভাঙতে সন্দেশখালি যাব’।
আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে ভোর রাতে পুলিশি তাণ্ডব, মায়ের কোল থেকে ছিনিয়ে ৬ মাসের শিশুকে ছুঁড়ে ফেলার অভিযোগ মত্ত পুলিশের বিরুদ্ধে
রাজ্যপালকে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘আমরা রাজ্যপালকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়ে গেলাম। কালকের মধ্যে যদি শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা না করেন সোমবার আমরা ১৪৪ ধারা ভাঙব। কত ক্ষমতা আছে, গ্রেফতার করুন আমাদের। আর রাজ্যপালের সেক্রেটারিকে বলে গেলাম। ভাইপো এখানে এসে সাত দিন ধরে ছামড়া বেঁধে বিনীত গোয়েলের সৌজন্যে ধরনা নাটক করেছে। সন্দেশখালিকে বাঁচানোর জন্য আপনি কিছু না করলে আপনার সিঁড়িতে বসে বিজেপির বিধায়করা লাগাতার ধরনা দেবে’।