Pakistan Army Chief on Election: জেলে থেকেও ‘আম্পায়ার’কে ইয়র্কার ইমরান খানের, নির্বাচন নিয়ে কী বলছেন পাক সেনা প্রধান?

পাকিস্তানের ৩৩৬ আসন বিশিষ্ট সংসদের ২৬৬টি আসনে নির্বাচন হয়েছিল ৮ ফেব্রুয়ারি। সেই দেশের সংসদের বাকি ৭০টি আসন মহিলা এবং সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত। এই আবহে পাকিস্তানের ম্যাজিক ফিগার হল ১৩৮। এখনও পর্যন্ত যে ফলাফল সামনে এসেছে, তাতে পাক সংসদ ত্রিশঙ্কু হতে চলেছে। এখনও পর্যন্ত যে ২৫০ আসনের ফল সামনে এসেছে, তাতে পিএমএল-এন জয়ী ৭১ আসনে, ভুট্টোর পিপিপি জয়ী ৫৩ আসনে, পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী ৯১ আসনে, অন্যান্যরা জয়ী ৩৫টি আসনে। ইমরান নিজে জেলে থেকেও তাঁর জনপ্রিয়তা যে এখনও শিখরে, তারই আন্দাজ মিলেছে এই ফলাফলে। এই আবহে কী বলছেন পাকিস্তানি সেনার প্রধান জেনারেল মুনির? (আরও পড়ুন: ‘ফাঁকা আওয়াজ’ আর নয়? লোকসভা ভোটের আগেই সিএএ, বড় ঘোষণা খোদ শাহের)

আরও পড়ুন: ভারতকে ইতিবাচক বার্তা ‘জয়ী’ নওয়াজ শরিফের, পাক নেতার কথায় ‘গর্জন’ সমর্থকদের মধ্যে

পাকিস্তানের নির্বাচনের ফল সামনে আসতেই দেশবাসীকে নির্বাচনের সাফল্যের জন্য স্বাগত জানিয়েছেন পাক সেনা প্রধান জেনারেল মুনির। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানকে কট্টরপন্থা এবং বিশৃঙ্খলার রাজনীতি থেকে সরে আসতে হবে।’ উল্লেখ্য, পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনার প্রভাব সর্বজনবিদিত। বলা হয়, গতবার ইমরানের জয়ের নেপথ্যে ছিল সেনার ‘হাত’। তবে মাঝপথে আইএসআই প্রধান নিয়োগ সহ একাধিক বিষয়ে সেনার সঙ্গে ইমরানের মতবিরোধ দেখা দিয়েছিল। এরপরেই গদি খোয়াতে হয়েছিল ইমরানকে। পাকিস্তানের রাজনীতির রেফারি, আম্পায়র, বিচারক সবই যেন সেনা। এরপরে একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ইমরান। পাকিস্তানের রাজনীতি থেকে ১০ বছরের জন্য তাঁকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর এবার পাকিস্তানের সেনার ‘হাত’ নওয়াজ শরিফের মাথার ওপরে ছিল বলে মনে করা হচ্ছিল। তবে নির্বাচনে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরাই সবথেকে এগিয়ে গিয়েছেন। তবে পাক সেনা প্রধানের ‘স্থিতিশীলতার’ বার্তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের পরবর্তী সরকার গঠনের জন্য পিপিপি-র বিলাওয়াল ভুট্টো এবং তাঁর বাবা আসিফ আলি খান জরদারির সঙ্গে কথা বলেছেন নওয়াজের ভাই তথা পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। উল্লেখ্য, এর আগে ইমরান খানকে গদিচ্যুত করার পরে যে সরকার গঠিত হয়েছিল, তার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শাহবাজ। আর সেই সরকারের বিদেশমন্ত্রী ছিলেন বিলাওয়াল। এই আবহে দেশকে অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ভাবে স্থিতিশীলতা দিতে ফের দুই দল হাত মেলাতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে শুধু পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার নয়, পঞ্জাবের প্রাদেশিক সরকারও জোট বেঁধে গঠন করবে এই দুই দল। এদিকে খাতায় কলমে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা আদতে ‘নির্দল’। এই পরিস্থিতিতে নওয়াজ ও বিলাওয়ালের দলের সম্মিলিত সংখ্যা ১৩৮ পার না করলেও নির্দলদের নিয়ে তারা সরকার গঠন করতে সক্ষম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।