রাজ্যসভায় যাঁরা স্থান পেলেন না তাঁরা কি লোকসভার তাস?‌ মুখ খুললেন শান্তনু সেন

রাজ্যসভা নির্বাচন সামনে। আর তা নিয়ে এখন ঘুঁটি সাজানো শুরু হয়েছে। আর সেই ঘুঁটি সাজানোয় আপাতত বিজেপিকে ডজ দিয়ে এগিয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ রাজ্যসভার প্রার্থী তালিকায় নারীশক্তির ক্ষমতায়নে জোর দেওয়া হয়েছে। আর এই কাজ করেছেন খোদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চারজন প্রার্থীর মধ্যে এবার তিনজনই মহিলা। নাদিমুল হককে দ্বিতীয়বার রাজ্যসভার প্রার্থী করা হয়েছে। আর সাংবাদিক সাগরিকা ঘোষ, মমতাবালা ঠাকুর এবং সুস্মিতা দেবকে এবার রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই সরে যেতে হয়েছে শুভাশিস চক্রবর্তী, আবিররঞ্জন বিশ্বাস এবং শান্তনু সেনকে। সেটা নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে শান্তনু সেনের নাম।

এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, নবীন–প্রবীণ দ্বন্দ্বের জেরে এবার কয়েকজন প্রবীণ লোকসভার সাংসদ টিকিট পাবেন না। আর সেই জায়গায় আসবেন শুভাশিস চক্রবর্তী, আবিররঞ্জন বিশ্বাস এবং শান্তনু সেন। তবে তাঁরা কাদের জায়গায় আসবেন সেটা এখন চূড়ান্ত হয়নি। শুধু তাই নয়, এঁরা কোন আসন থেকে প্রার্থী হবেন সেটাও চূড়ান্ত করা হয়নি। লোকসভায় এঁরা প্রার্থী হলে জনগণের সামনে বিজেপির আসল মুখোশটা খুলে দিতে পারবেন। কারণ এঁরা নয়াদিল্লিতে পড়ে থেকে সংসদে কাজ করেছেন বছরের পর বছর। তার উপর স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মুখ। নবীন প্রজন্মের মধ্যেই পড়েন তাঁরা। তার উপর প্রত্যেকেই সুবক্তা।

অন্যদিকে শান্তনু সেন বঙ্গ রাজনীতিতে ‘টেকনিক্যাল পলিটিশিয়ান’ হিসেবেই পরিচিত। একদিকে চিকিৎসক অপরদিকে তথ্য নির্ভর বক্তব্য রাখেন তিনি। তাছাড়া মুখের উপর জবাব দিতে জানেন শান্তনু সেন। রাজ্যসভাতেও উল্লেখযোগ্য ছাপ রেখেছন চিকিৎসক–সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেন। তবে এই বিষয়ে শান্তনু সেন এক সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘‌যাঁরা নতুন প্রার্থীপদ পেয়েছেন তাঁদের জন্য রইল শুভেচ্ছা। তাঁরা মানুষের হয়ে ভাল কাজ করবেন সেই আশাই করছি। লোকসভার আগে কোনও নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে কিনা সেটা ঠিক করবেন দলনেত্রী। তিনি যে দায়িত্ব দেবেন তা আমি পালন করব।’

আরও পড়ুন:‌ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রেই গড়ে উঠেছে পুলিশের শিবির, সন্দেশখালি নিয়ে চিন্তায় পরীক্ষার্থীরা

এছাড়া রাজ্যসভায় তিন নারীর উপর ভরসা রেখেছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। মমতাবালা ঠাকুরকে রাজ্যসভার প্রার্থী করা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ। কারণ দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। আর অমিত শাহ ঘোষণা করেছেন লোকসভা নির্বাচনের আগে সারা দেশে সিএএ চালু হবে। বাংলায় তা আছড়ে পড়লে মোকাবিলা করবেন মমতাবালা। লোকসভা নির্বাচনে টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে মতুয়া সম্প্রদায়। সাংবাদিক সাগরিকা ঘোষ সর্বভারতীয় স্তরে একটি বড় নাম। তিনি নানা সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে কাজ করেছেন। একজন লেখিকাও। আর সুস্মিতা দেব আগেও রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন। তাঁর কার্যকালের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই আবার একবার তাঁকে প্রার্থী করা হল। অসম–ত্রিপুরার সমীকরণ তিনি ভাল বোঝেন।