‘আমি কি বাবর, ঔরঙ্গজেবের মুখপাত্র? রামমন্দির প্রসঙ্গে হঠাৎ কেন বললেন ওয়াইসি

সংসদে রাম মন্দিরের জন্য ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনা চলাকালীন বাবরি মসজিদ, ধর্ম সহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। অযোধ্যার রাম মন্দিরের কথা উল্লেখ করে ওয়াইসি প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে শুধু একটি ধর্মের এবং সম্প্রদায়ের সরকার বলে প্রশ্ন করেছেন। এছাড়াও তিনি বাবর, ঔরঙ্গজেব, জিন্নাহর মুখাপত্র নন বলেও দাবি করেন।

আরও পড়ুন: নারীরা শুধুযে স্বামীদের জন্য রান্না করবেন তা কোরানে বলা নেই-আসাদউদ্দিন ওয়াইসি

এদিন সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের উদ্দেশ্য ওয়াইসি প্রশ্ন করেন, ‘২২ জানুয়ারি উদযাপন করে আপনি কোটি কোটি মুসলমানকে কী বার্তা দিচ্ছেন? এই সরকার কি এই বার্তা দিতে চায় যে এক ধর্ম আরেক ধর্মকে জয় করেছে? দেশের ১৭ কোটি মুসলমানকে কী বার্তা দেবেন?’ এরপরে তিনি বলেন, ‘মুসলমানদের বারবার দেশপ্রেম প্রমাণ করতে বলা হয়। অথচ ১৯৯২, ২০১৯, ২০২২ সালে মুসলমানদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছিল। আমি বাবর, আওরঙ্গজেব, জিন্নাহর মুখপাত্র নই।’এদিন সংসদে বাবরি মসজিদ নিয়ে আবেগঘন বক্তব্য রাখেন ওয়াইসি। তিনি বাবরি মসজিদ জিন্দাবাদ স্লোগান দেন। ওয়াইসি বলেন, ‘বাবরি মসজিদ দীর্ঘজীবী হোক, বাবরি মসজিদ ছিল, আছে এবং থাকবে।’

এদিকে, ওয়াইসি বাবরের প্রসঙ্গ টেনে আনার পর বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে উঠে দাঁড়ান। তখন পালটা তিনি ওয়াইসিকে জিজ্ঞেস করেন, যে তিনি বাবরকে আক্রমণকারী হিসাবে বিবেচনা করেন না? এর উত্তরে ওয়াইসি বলেন, ‘আপনি প্রথমে বলুন যে আপনি পুষ্যমিত্র শুঙ্গকে কী মনে করেন। মন্দির ভেঙে দেওয়ার জন্য তাঁর একটি সেনা ছিল। এটাই আমি পুনরাবৃত্তি করছি যে স্বাধীনতার এত বছর পরেও নিশিকান্ত দুবেজি আসাদুদ্দিন ওয়াইসিকে বাবর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছেন? আমাকে গান্ধী, নেতাজি, জালিয়ানওয়ালাবাগ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছে? কিন্তু, তা না করে আপনি আমাকে বাবর সম্পর্কেই জিজ্ঞাসা করলেন।’ 

ওয়াইসি এদিন সংসদে নাথুরাম গডসের প্রসঙ্গও টেনে আনেন। এ প্রসঙ্গে ওয়াইসি বলেন, তিনি ভগবান রামকে সম্মান করেন, কিন্তু গান্ধীজীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসেকে ঘৃণা করেন যার শেষ কথা ছিল ‘হে রাম’। এদিন সংসদের নিজের বক্তব্যের একটি ভিডিয়ো ক্লিপও নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন ওয়াইসি। সেখানে ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘বাবরি মসজিদ দীর্ঘজীবী হোক, ভারত দীর্ঘজীবী হোক, জয় হিন্দ।’