কেরলে ১৫টি আসনে লড়বে সিপিএম, চারটি পেল সিপিআই, একা হয়ে গেল কংগ্রেস‌

লোকসভা নির্বাচন সামনেই। এখনও নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেনি জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এই আবহে একের পর এক রাজ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বাংলায় কোনও জোট হচ্ছে না। ফলে ৪২টি আসনেই একা লড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। নয়াদিল্লি–পঞ্জাবে আম আদমি পার্টি একা লড়তে চাইছে। সেখানে কেরল রাজ্যে সিপিএম ১৫টি লোকসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইছে। আর ৪টি আসন শরিক সিপিআইকে ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছে সিপিএম। আর একটি আসন কেরল কংগ্রেস (‌মানি)‌–কে ছাড়ার কথা শনিবার ঘোষণা করল সিপিএম।

এই আসন বন্টনের কথা ঘোষণা করার পর চাপে পড়েছে কংগ্রেস। কারণ ইন্ডিয়া জোটে আছে তারা। আবার বাংলায় সিপিএমের জোটসঙ্গী কংগ্রেস। সেখানে কংগ্রেসকে আসন ছাড়ল না সিপিএম। এটা নিয়েই জোর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস বেশ কয়েকটি আসন জিতেছিল। এবার এভাবে একতরফা আসন বন্টন ঘোষণা করে দেওয়ায় একলা চলো নীতি নিল বলেই মনে করা হচ্ছে। কোট্টাম আসনটি কেরল কংগ্রেস (‌মানি)‌–কে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই গোটা বিষয়টি ঘোষণা করেছেন এলডিএফ আহ্বায়ক ইপি জয়রাজন। বামফ্রন্টের বৈঠকের পর এই কথা সাংবাদমাধ্যমে জানান।

এদিকে পরিস্থিতি যা দাঁড়াচ্ছে তাতে ধীরে ধীরে কংগ্রেস একা হয়ে যাচ্ছে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে। তবে কংগ্রেস এখানে প্রার্থী দেবে বলেই সূত্রের খবর। রাহুল গান্ধী ওয়াইনার আসন, তিরুঅনন্তপুরম থেকে শশী থারুর দাঁড়াবেন বলেই কংগ্রেস সূত্রে খবর। কিন্তু জয়রাজন জানান, সংসদে বামেদের শক্তি বৃদ্ধি প্রয়োজন। কারণ তাহলেই দেশের গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষিত হবে। তাঁর কথায়, ‘‌যেভাবে দেশের গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর আক্রমণ নেমে এসেছে তাতে বামেদের অবশ্যই শক্তিশালী উপস্থিতি প্রয়োজন সংসদে। ভারতীয় রাজনীতিতে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তার মূল কারণ বামেদের অনুপস্থিতি।’‌

আরও পড়ুন:‌ বাংলাদেশ–ভারত ট্রেন ও বাসের সংখ্যা বাড়ছে, ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় চাপে মানুষজন

অন্যদিকে ২০১৯ সালে সিপিএম ১৬টি লোকসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। কিন্তু তখন একরকম রাজনৈতিক পরিস্থিতি ছিল। আর এখন সেই পরিস্থিতি পাল্টেছে বলে জানান জয়রাজন। তবে কেমন পাল্টেছে, সেটা তিনি খোলসা করে বলেননি। যদিও বামফ্রন্টের শীর্ষ নেতা জানান, রাজনৈতিক গুরুত্ব ব্যাখ্যা করবে বামফ্রন্ট। সমস্ত আসনে বামেদের প্রার্থীকে জেতাবার কারণ থেকে শুরু করে এবারের লোকসভা নির্বাচনের তাৎপর্য সেখান থেকেই ব্যাখ্যা করা হবে। আসন বন্টন নিয়ে শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। এবার প্রার্থী চূড়ান্ত করার পালা।