রমজানে পণ্যে কারসাজি করলেই ব্যবস্থা: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের বাজারে কোন ধরনের মজুতদারি বা কারসাজি করার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা আমরা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু)। 

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সাইদুল হক সুমনের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এই হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ এবং ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সারাদেশে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে যাচ্ছে।

অধিবেশনে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু) বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রথম কেবিনেট থেকেই দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। এবং আন্ত:মন্ত্রণালয় সমন্বয় কমিটির মাধ্যমে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিনিধি আমাদের সাথে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে। এই টাস্কফোর্সের মাধ্যমে নিরবিচ্ছিন্নভাবে সরবরাহের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন পর্যায়ে যেন কোন প্রতিবন্ধকতা না হয়, বাজার ব্যবস্থাপনায় না হয় সেই বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। এই নির্দেশনাগুলো যেন বাস্তবায়ন হয় সেজন্য আমরা সমন্বিতভাবে কৃষি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি। আমরা আশা করছি আগামী রমজানে নিরবিচ্ছিন্নভাবে খাদ্যের সরবরাহ ভোক্তা পর্যায়ে নিশ্চিত করতে পারবো। কোন ধরণের মজুতদারি বা কোন রকম কারসাজি করার চেষ্টা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করা হবে।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে পেঁয়াজ এবং চিনির ব্যাপারে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সাথে যোগাযোগ করেছি। এই দুইটি পণ্যের বিষয়ে রপ্তানি নিষিদ্ধ ছিল, বাংলাদেশকে এই রমজানের আগেই পেঁয়াজ এবং চিনি রপ্তানির জন্য অনুমোদন দেবেন বলে আশা করছি। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত থেকে এসেছেন। সেখান থেকে তিনি আশ্বস্ত হয়ে এসেছেন যে প্রক্রিয়া চলছে। আমরা আশা করি রমজান শুরুর আগেই আমরা ভারত থেকে এবং বিকল্প অন্য মাধ্যম থেকেও পেঁয়াজ এনে সরবরাহ নিশ্চিত করার চেষ্টা করব।

একই প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, মাংসের দাম কমানোর জন্য ভোক্তাদের ক্রয়সীমার মধ্যে আনার জন্য বাংলাদেশ ডেইরী ফার্মারস্ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যসহ অংশীজনের অংশগ্রহণে কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজার মনিটরিং পরিচালনা করার পাশাপাশি সাংবাদিকদের ইতিবাচক রিপোর্টের মাধ্যমে বাজার ব্যবস্থা স্থিতিশীল রাখার জন্য কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া ভোজ্যতেল, চিনি, এলপি গ্যাস, গরম মসলাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে দেশব্যাপী নিয়মিত বাজার মনিটরিং অব্যাহত রেখেছে।



শাকিল/সাএ