Rajib Banerjee: ‘গদ্দার হঠাও…’, রাজীবকে ধর্না মঞ্চে দেখেই নাগাড়ে স্লোগান, কড়া পদক্ষেপ বক্সীর

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে তৃণমূলের ধর্না চলছে রেড রোডে। সেই ধর্না মঞ্চে অস্বস্তিকর ঘটনা হল রবিবার। মঞ্চে ছিলেন প্রাক্তন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে ঘিরে ‘গদ্দার হটাও, বাংলা বাঁচাও’ স্লোগান দিতে থাকেন হওড়া জোলা (সদর) তৃণমূলের একাংশ। মঞ্চ থেকে হাওড়া জেলা নেতৃত্বে তাঁদের শান্ত হতে বলেন। কিন্তু স্লোগান চলতেই থাকে। শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী তাঁদের ধর্না চত্ত্বর থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন।

রবিবার ধর্না মঞ্চের দায়িত্ব ছিল হাওড়ার দুই সাংগঠনিক জেলার। সকালে মঞ্চের দায়িত্বে ছিলেন হাওড়া (গ্রামীণ) তৃণমূলের সভাপতি অরুনাভ সেন। দুপুরে দায়িত্বে আসেন হাওড়া জেলা (সদর) তৃণমূলের সভাপতি কল্যাণ ঘোষ।

বেলার দিকে ধর্না মঞ্চে আসেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলার নেতা সৃষ্টিধর ঘোষের বক্তৃতার মধ্যেই ধর্না মঞ্চের নীচে থেকেই ‘গদ্দার হঠাও বাংলা বাঁচাও’ স্লোগন দিতে থাকেন একদল তৃণমূল কর্মী। প্রথম মঞ্চ মানা করা হলেও তাঁরা থামেনি। সেই স্লোগান চলতে থাকে।

হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তৃতা করে উঠে বলেন, এমন পরিস্থিতি বঞ্চনীয় নয়। সেই সময়ও ফের স্লোগান শুরু হয়। রাজীবের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বারবার বারণ করা সত্ত্বেও থামেননি তারা।

পড়ুন। মমতার আস্থার সুযোগ নিয়ে…, পার্থকে নিয়ে বললেন অভিষেক, বালুর বিষয়ে থাকলেন নরম

পড়ুন। মমতার আস্থার সুযোগ নিয়ে…, পার্থকে নিয়ে বললেন অভিষেক, বালুর বিষয়ে থাকলেন নরম

এর মাঠে নামে সুব্রত বক্সী। তিনি মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে বলেন, ‘আপনারা যাঁরা দাদাদের হাত ধরে এসেছেন, তাঁরা দাদাদের হাত ধরে বেরিয়ে যান। আপনাদের এই ধর্না মঞ্চে অংশগ্রহণ করতে হবে না। আপনাদের ছাড়া যে ভাবে এতদিন ধর্না মঞ্চের কর্মসূচি হয়েছে, সে ভাবেই কর্মসূচি চলবে।’ সুব্রত বক্সীর ধমক খেয়ে এলাকা ছাড়েন তৃণমূল কর্মীরা।

প্রসঙ্গত, হাওড়ার ডোমজুড়ের দু’বারের বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। সেবার গেরুয়া শিবিরের হয়ে দাঁড়িয়ে ডোমজুড়ে পরাজিত হন। ২০২২ সালে আগরতলার একটি সভায় তিনি ফের তৃণমূলে যোগদান করেন। তাঁকে তৃণমূলে ফেরান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দায়িত্ব দেন ত্রিপুরার সংগঠনের। কিন্তু সে ক্ষেত্রে সফল হননি রাজীব। বর্তমান মুখপাত্র হিসেবে বিভিন্ন সাংবাদমধ্যমে বক্তব্য রাখেন রাজীব।