‘বিলাওয়ালকে প্রধানমন্ত্রী না করলে পিপিপিকে বিরোধী দল গঠন করতে হবে’

পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)-এর চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত না হলে তার দলকে বিরোধী পক্ষে বসতে হবে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) পিপিপি নেতা ফয়সাল করিম কুন্দি এ কথা বলেছেন। এক প্রতিবেদনে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এই খবর জানিয়েছে।

সোমবার জিও নিউজের সঙ্গে কথা বলার সময় পিপিপির কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি ফয়সাল করিম কুন্দি বলেছেন, তিনি মনে করেন বিলাওয়াল প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না হলে পিপিপির বিরোধী পক্ষে বসা উচিত। তবে এটি যে একান্তই তার ব্যক্তিগত মতামত তা স্পষ্ট করেছেন ফয়সাল।

এসময় পিপিপি এই নেতা আরও বলেন, পিপিপি প্রধানমন্ত্রীর হিসেবে পিএমএল-এন-এর প্রার্থীকে ভোট দেবে এবং বিরোধী পক্ষেও বসবে এমন সম্ভাবনাও রয়েছে।

ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে বর্তমানে ৫৪টি আসন নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে পিপিপি। কেননা, এটি যে দলকে সমর্থন করবে সে দলই নতুন সরকার গঠনে প্রধানমন্ত্রী হাউজ পাওয়ার সক্ষমতা অর্জন করবে।

সিন্ধু ও বেলুচিস্তান পরিষদেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে পিপিপি। সিন্ধুতে অন্য কোনও দলের সমর্থন ছাড়াই এটি সরকার গঠন করতে সক্ষম। তবে বেলুচিস্তানে সরকার গঠনের জন্য দলটির একটি অংশীদারের প্রয়োজন হবে।

সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রীর পদের জন্য কাকে মনোনীত করা হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে কুন্দি বলেন, আজ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন পিপিপির সিইসি।

তিনি আরও বলেন, পাঞ্জাবে সরকার গঠনে পিপিপি নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এনকে সমর্থন করলে এর বিনিময়ে বেলুচিস্তানে সরকার গঠনের জন্য তাদের সমর্থন চাইবে বিলাওয়ালের দল।

বেলুচিস্তানে ১১টি আসন নিয়ে বৃহত্তম দল হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে পিপিপি। জেইউআই-এফ এবং পিএমএল-এন প্রত্যেক দল ১০টি করে আসন নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।

৮ ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনের পর ১৩৮টি আসন নিয়ে পিএমএল-এন পাঞ্জাব পরিষদে বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। আর পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্ররা পেয়েছিল ১১৬টি আসন। যেসব প্রার্থীরা কোনও দলের সমর্থন ছাড়াই স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তারা পেয়েছেন ২২টি আসন, পিপিপি ১০টি, পিএমএল-কিউ ৭টি, এবং আইপিপি, টিএলপি, ও পিএমএল-জি এর প্রত্যেক দল একটি করে আসন পেয়েছে।