আফ্রিকা কাপ অব নেশন্সে আলোচনায় ছিলেন আইভরি কোস্টের সেবাস্তিয়ান হলার। ২০২২ সালের জুলাই মাসে অণ্ডকোষের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিনে। সেই ক্যানসার জয়ী বরুশিয়া ডর্টমুন্ড তারকা এবার আরেকটি বিজয় ছিনিয়ে আনলেন। ফাইনালের শেষ দিকে তার করা গোলেই নাইজেরিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিক দল।
আবিদজানে উইং থেকে সিমোন আদিনগরার অসাধারণ নৈপুণ্যের পরই ৮১ মিনিটে আসে জয় সূচক গোল। অথচ ৩৮ মিনিটের শুরুতে স্বাগতিকদের স্তব্ধ করে দিয়েছিলেন নাইজেরিয়ার উইলিয়াম ট্রুস্ট একং। দীর্ঘক্ষণ পিছিয়ে থাকা আইভরি কোস্ট ফ্র্যাঙ্ক কেসির গোলে সমতায় ফেরে ৬২ মিনিটে। তার পর তো সেবাস্তিয়ান হলারের সেই ঐতিহাসিক গোল।
এই জয়ে ২০১৫ সালের পর তৃতীয়বার মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা ঘরে তুলেছে তারা। অবশ্য সবচেয়ে বেশিবার শিরোপা জয়ের তুলনা করলে নাইজেরিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে চতুর্থ সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ী দল আইভরি কোস্ট। ৭টি জিতে সবার ওপরে মিসর। তার পর ক্যামেরুন ৫টি, ঘানা ৪টি।
ফাইনালের দিন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো উপস্থিত ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন আইভরিয়ান কিংবদন্তি ডিডিয়ের দ্রগবাও।
আইভরি কোস্ট টুর্নামেন্টে যেভাবে অগ্রসর হয়েছে তাতে এই শিরোপা জয় অবিশ্বাস্য। গ্রুপ পর্বেই ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল তারা। সেখান থেকে নকআউটে স্থান করে নেয় তৃতীয় সেরা দল হয়ে।
শিরোপা জয়ের পর দলীয় নৈপুণ্যের প্রশংসা করেছেন ফাইনালের ম্যান অব দ্য ম্যাচ আদিনগরা, ‘এটাই দলটার শক্তি এবং মানসিক অবস্থা। যার কারণে আমরা এত দূর আসতে পেরেছি। এটা ঠিক আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জিং অনেক কিছু ছিল। কিন্তু সেখান থেকে নিজেদের উদ্ধার করতে পেরেছি।’