Court on Divorce: হিন্দু আইনে বিয়ে একটি ধর্মীয় বিষয়,’কনট্রাক্ট’ নয়! ডিভোর্সের আর্জিতে পুনর্মিলনের পক্ষে সায় কোর্টের

নিম্ন আদালতের রায়ে ডিভোর্সের আর্জিতে পড়ে সবুদ সংকেত। তবে সেই মামলা সেশন কোর্টে যেতেই ডিভোর্সের আর্জি খারিজ করে দিল কোর্ট। গুজরাটের এক সেশন কোর্ট সাফ জানিয়েছে, বিয়ে হল হিন্দু আইনের আওতায় ধর্মীয় বিষয়। সেক্ষেত্রে দম্পতির পুনরায় মিলনের পক্ষে সায় দিয়েছে সেশন কোর্ট।

কোর্ট বলছে, মধ্যস্থতা বা অন্য কোনও ঝগড়া মেটানোর পন্থায় হেঁটে দম্পতির বিচ্ছেদকে জোড়া লাগানোর কথা। তবে কোনও মতেই বিচ্ছেদকে টেনে নিয়ে এগিয়ে যাওার পক্ষে সায় দিচ্ছে না আদালত। এই ডিভোর্সের মামলা গুজরাটের ধানধুকা টাউনের। সেখানের বাসিন্দা এক দম্পতি সদ্য ডিভোর্সের মামলা করেন। 

কী ঘটেছিল?

১৯৯৮ সালে তাঁদের বিয়ে হয়। রয়েছে তিন সন্তান। গত ২০১২ সাল থেকে স্ত্রী থাকছেন বাবা মায়ের সঙ্গে। আর তাঁর থেকেই স্বামী চাইলেন ডিভোর্স। এই মামলায় ডিভোর্সের আর্জি ২০১৪ সালে করেন স্বামী। ২০১৮ সালে ধানধুকার এক কোর্ট তাঁর ডিভোর্সের আর্জিতে সায় দিয়ে রায় দেয়। অভিযোগ ছিল, তাঁর স্ত্রী তাঁর ওপর অত্যাচার চালাতেন বলে। এরপর সেই ডিভোর্সের মামলা চ্যালেঞ্জ করে কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁর স্ত্রী। কোর্টে প্রমাণ পেশ করেন স্ত্রী, যে তাঁর স্বামী বারবার তাঁর থেকে পণ চেয়ে অত্যাচার করতেন। এমনতি অভিযোগ রয়েছে, তিনি যখন গর্ভবতী ছিলেন, তখন গর্ভের সন্তানের লিঙ্গও জানতে চান স্বামী। তার জন্য টেস্ট করতে বাধ্য করছিলেন তাঁকে। স্ত্রীর অভিযোগ, যখন তাঁর শ্বশুরবাড়ি জানতে পারে যে, তাঁর গর্ভে রয়েছে কন্যা সন্তান, তখন তাঁকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।

( Narayan Murthy on Infosys: ‘ইনফোসিসের আগের কর্মীদের ঠিকভাবে…অনুশোচনা হয়’, কী নিয়ে এখনও আক্ষেপ নারায়ণ মূর্তির)

বাড়তে থাকে সমস্যা

তবে প্রথম সন্তানের জন্মের পর সমঝোতা হয়েছিল। ফের শ্বশুরবাড়িতে মহিলাকে আসতে বলা হয়। মহিলা বলছেন, তৃতীয় সন্তানের জন্মের পর তাঁর স্টেরিলাইজেশন করা হয়। এটি তাঁকে করানো হয়, যাতে তিনি এই পদক্ষেপের ফলে তাঁর বিয়ে বাঁচাতে পারেন। এমন অভিযোগ তুলে মহিলা বলছেন, সন্তানের দোহাই দিয়ে তাঁকে এমন সমস্ত করানো হত। অত্যাচারের মাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে তিনি বাবার বাড়ি চলে যান। এরপর অপরাধমূলক ঘটনার অভিযোগ তুলে স্ত্রী দ্বারস্থ হন প্রশাসনের। এদিকে, স্ত্রীকে একগুঁয়ে বলে অভিযোগ তুলে নিম্ন আদালতে ডিভোর্সের রায়কে সমর্থন করেন স্বামী। এই মামলাই সেশন কোর্টে যেতে আসে এই রায়।