Nusrat Jahan on Sandeshkhali: ‘আমি গেলে তো আরও পাঁচজন…আগুনে ঘি ঢালবেন না,’ সন্দেশখালি নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন নুসরত

সন্দেশখালি নিয়ে অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন নুসরত জাহান। স্থানীয় সাংসদ নুসরত জাহান সন্দেশখালি নিয়ে কী বলেন সেদিকে তাকিয়ে ছিলেন অনেকেই। তবে অবশেষে এনিয়ে মুখ খুললেন তিনি। 

নুসরত জাহান জানিয়েছেন, এটা বিভেদের সময় নয়। একসঙ্গে লড়াই করা দরকার। সন্দেশখালির মানুষের জন্য সবরকম সদর্থক ভূমিকা পালন করছে রাজ্য সরকার। প্রশাসনের সঙ্গে থাকুন। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, কেউ প্ররোচনায় পা দেবেন না। কেউ প্ররোচনা দেবেন না। এই ইস্যু নিয়ে রাজনীতি করবেন না। আগুনে ঘি ঢালবেন না। 

তিনি জানিয়েছেন,  নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমি নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছি। প্রশাসন যা ব্যবস্থা নেওয়ার নিচ্ছে। পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যে এটা নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। আর আমার কাজ আগুনে ঘি দেওয়া নয়। আমাদের সকলের কাজ এটাই হওয়া উচিত। যাতে আগুন নেভানো যায়। তাই সকলের উচিত প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করা। যাতে প্রশাসনের লোকেরা নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে পারেন। সেটা নিশ্চিত করা উচিত।

এদিকে এলাকায় তাঁর না যাওয়া প্রসঙ্গে সাংসদ একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন বলেন, তিনি যদি ঘটনাস্থলে যান তাহলে তাঁর সঙ্গে আরও পাঁচ জন যাবেন। আমি যাওয়ার মানে হচ্ছে আমার সঙ্গে তো আরও পাঁচজন যাবেন। ওখানে যে পরিস্থিতি রয়েছে সেটাকে সম্মান করতে হবে।প্রশাসন সেখানে যে বিধি জারি করেছে সেটাকে আমাদের সম্মান করতে হবে। 

এদিকে এর আগে নাম না করে নুসরতের অনুপস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছিলেন, ‘‌দেব আর দেবী ছাড়া তৃণমূলের গতি নেই। দেবকে নিয়ে এই চলছে। দেবীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সেই দেবীর এলাকা সন্দেশখালি জ্বলছে। মহিলারা অত্যাচারিত। তারা ঝাঁটা লাঠি নিয়ে পুলিশকে তাড়া করছে। দেবী ডগ ডে, চকোলেট ডে নিয়ে মেতে আছেন। এরপর ভ্যালেন্টাইন্স ডে করবেন। এরকম লোককে মানুষ কেন ভোট দেয়!‌ মহিলাদের এই দুঃখের সময় তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। এরকম দেবীদের ভোট দিলে এমনই হবে।’‌ এটা আসলে তিনি নিশানা করেছেন নুসরত জাহানকে।

এমনকী দিলীপ ঘোষ জানিয়েছিলেন, ‘‌এটার মধ্যে বিরোধীদের ভোট ভাগের রাজনীতি আছে। … বিজেপি নেতা গ্রেফতার হয়েছে। এখন সেই ইস্যু ডাইভার্ট করার জন্য শাহাজাহানের চ্যালা গ্রেফতার হয়েছে। সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক গ্রেফতার হয়েছে। ওদের পালে হাওয়া দিয়ে বিরোধী ভোট ভাগের চেষ্টা চলছে। যাতে জনরোষের ফায়দা কোনও একদিকে না যায়। নুসরত জাহানকে দরকার ছিল এলাকায়। তাকেও পাওয়া যাচ্ছে না। শাহাজাহান নেই।’‌ তবে অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন নুসরত।