Pakistan Vote: বাতিল হওয়া ব্যালটের সংখ্য়া ভোটের মার্জিনের থেকে বেশি, একী অবস্থা পাকিস্তানে!

ইসলামাবাদ, ১২ ফেব্রুয়ারি (পিটিআই): পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সাধারণ নির্বাচনের একটি আকর্ষণীয় পরিসংখ্যান অনুসারে জানা গিয়েছে, বাতিল হওয়া ব্যালটের সংখ্যা কমপক্ষে ২৪টি জাতীয় পরিষদ আসনে জয়ের ব্যবধানের চেয়ে বেশি ছিল। অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এই ফলাফল সংক্রান্ত পরিসংখ্য়ান। 

এই পার্থক্য সম্ভবত আইনি লড়াইয়ের জন্য দরজা খুলে দিয়েছে কারণ বেশ কয়েকজন পরাজিত প্রার্থী ফলাফল পর্যালোচনা করার জন্য আবেদনের বন্যা বইয়ে দিয়েছে।

ডন পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঞ্জাবে ২২টি আসনে জয়ের ব্যবধানের চেয়ে বেশি বাতিল ভোট পড়েছে, খাইবার পাখতুনখোয়া ও সিন্ধু প্রদেশে একটি করে আসন পড়েছে।

এর মধ্যে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ১৩টি আসনে জয়লাভ করেছে, পাঁচটি আসনে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পি), চারটি পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র এবং দুটি স্বতন্ত্র প্রার্থী পেয়েছে।

সংখ্যাগত দিক থেকে পিএমএল-এন এবং পি উভয়ই কেন্দ্রে জোট সরকার গঠনের অবস্থানে রয়েছে। তবে পিএমএল-এন প্রধান নওয়াজ শরিফ বলেছেন, আসন্ন জোট কাঠামোতে পিটিআই ছাড়া সব দলকে একত্রিত হতে হবে।

রবিবার পর্যন্ত পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) ঘোষিত ফলাফল অনুসারে, জাতীয় পরিষদের মোট ২৬৫টি আসনের মধ্যে পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্ররা ৯৩টি, পিএমএল-এন ৭৩টি, পিপিপি ৫৪টি, এমকিউএম ১৭টি এবং অন্যান্যরা ১৯টি আসন পেয়েছে।

সর্বাধিক সংখ্যক বাতিল ভোট ছিল পাঞ্জাবের এনএ-৫৯ (তালাগাং-কাম-চাকওয়াল) অঞ্চলে, যেখানে পিএমএল-এনের সরদার গোলাম আব্বাস তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পিটিআই-সমর্থিত মুহাম্মদ রুমান আহমদের বিরুদ্ধে ১৪১,৬৮০ ভোট পেয়েছিলেন, যিনি ১২৯,৭১৬ ভোট পেয়েছিলেন।

জয়ের ব্যবধান ছিল ১১.৯৬৪। এবং বাতিল হওয়া ব্যালট পেপারের সংখ্যা ছিল ২৪,৫৪৭। 

এর পরেই রয়েছে এনএ-২১৩ উমরকোট (১৭,৫৭১টি ব্যালট)। সবচেয়ে কম সংখ্যক ব্যালট বাদ পড়েছে এনএ-২৩৬ করাচি ইস্ট-২ (৫১টি ব্যালট)।

সব মিলিয়ে জাতীয় পরিষদের ২৬৫টি আসন থেকে প্রায় ২০ লাখ ব্যালট পেপার ভোট গণনার বাইরে রাখা হয়েছে।

চারটি আসনের প্রতিটিতে ১৫ হাজারের বেশি ভোট পড়েছে। আরও ২১টি আসনে ১০ থেকে ১৫ হাজার ভোট বাদ পড়েছে। বিপুল সংখ্যক নির্বাচনী এলাকায় (১৩৭টি) ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ এর মধ্যে ভোট বাদ পড়েছে বলে জানা গেছে।

মোট ৬৭টি আসনে পাঁচ হাজারের কম ভোট পড়েছে কিন্তু এক হাজারের বেশি ভোট বাদ পড়েছে। মাত্র ছয়টি সংসদীয় আসনে এক হাজারের কম ভোট পড়েছে।