‘‌ঠাকুর তৈরি হয়ে চলে এসেছে’‌, দিঘার জগন্নাথ মন্দির নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন মমতা

অযোধ্যায় রামমন্দির গড়ে উঠলেও পিছিয়ে নেই বাংলাও। এখানেও তৈরি হচ্ছে জগন্নাথ মন্দির। একেবারে সমুদ্র সৈকতের লাগোয়া। তার জন্য খরচও হচ্ছে কয়েক কোটি টাকা। আর সে কথা আরামবাগের সভা থেকে জানিয়ে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হ্যাঁ, জায়গাটি দিঘা। এখানেই নির্মীয়মা‌ন জগন্নাথ মন্দিরের মূর্তি তৈরি হয়ে এসে গিয়েছে বলে আরামবাগের সরকারি কর্মসূচি থেকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘একদম পুরীর মন্দিরের মতো তৈরি হচ্ছে দিঘার জগন্নাথ মন্দির। ঠাকুর তৈরি হয়ে চলে এসেছে। ওদেরটা নিমকাঠের মূর্তি। আমাদেরটা মার্বেলের। একটু তো তফাত থাকবেই।’

এদিকে সমুদ্র ও জগন্নাথ মন্দির একসঙ্গে পেলে পর্যটনের উন্নয়ন ঘটবে। এমনকী তাতে বাড়বে পর্যটকের সংখ্যা। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ধাঁচেই দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি করার সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রী নিয়েছিলেন ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে। তার পর থেকে শুরু হয়ে যায় কাজ। ২০২২ সালের মে মাসে অক্ষয় তৃতীয়ার দিনকে বেছে নিয়ে নির্মাণ শুরু হয় দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের। একটু একটু করে এগিয়ে যায় সেই কাজ। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সেদিনই অযোধ্যার রামমন্দির কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁরা ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসেই মন্দিরের কাজ সম্পূর্ণ করতে চান। তারপর অযোধ্যার রামমন্দির এবং রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা সবাই দেখেছেন।

অন্যদিকে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসের শুরুতে নির্মীয়মান মন্দির চত্বরটি পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘বিরাট এক কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। হাজার হাজার বছর ধরে জগন্নাথ দেবের এই মন্দির প্রতিষ্ঠিত থাকবে।’ ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে দিঘার জগন্নাথ মন্দির সবার জন্য খুলে দেওয়ার একটা কথা হয়েছিল। কিন্তু সেটা তাড়াহুড়ো হয়ে যাবে বলে তা হয়নি। আর সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আর চার মাসের মধ্যে মন্দিরের কাজ সম্পন্ন হবে। ফলে লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন হচ্ছে না বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন:‌ লক্ষ্যভ্রষ্ট!‌ বায়ুসেনার বোমা এসে পড়ল ধান জমিতে, কলাইকুন্ডা ঘাঁটির ঘটনায় হাহাকার

এছাড়া দিঘায় সমুদ্রের ধারে এই জগন্নাথ মন্দিরটির কাজ এখন পুরোদমে চলছে। এখানেই দিঘা স্টেশন সংলগ্ন ২০ একর জমি এই মন্দিরের জন্য দেয় দিঘা–শঙ্করপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এই মন্দিরটি তৈরির দায়িত্ব নিয়েছে রাজ্যের হাউসিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন (হিডকো)। সেই সূত্রেই খবর, দিঘার এই জগন্নাথ মন্দিরের উচ্চতা হবে ৬৫ মিটার অথবা ২১৩ ফুট। যা পুরীর মন্দিরেরই উচ্চতার প্রায় সমান। মন্দির নির্মাণ করতে খরচ হচ্ছে ১৪৩ কোটি টাকা। হুগলি থেকে সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এই জেলার একদিকে কামারপুর–জয়রামবাটি অপর দিকে তারকেশ্বর, ব্যান্ডেল চার্চ, ফুরফুরা শরিফ রয়েছে। সবাইকে নিয়েই এই বাংলা।’