থানায় ঢুকে ওসিকে বৈদ্যুতিক মেশিন দিয়ে শক দেওয়া ২ আসামি রিমান্ডে

থানায় ঢুকে ওসিকে বৈদ্যুতিক মেশিন দিয়ে শক দেওয়ার ঘটনায় দুই আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ ছাড়া আরেক আসামিকে রাজবাড়ী জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজবাড়ীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সুমন হোসেন তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন- রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুর ইউনিয়নের ডিক্রির চর চাঁদপুর গ্রামের আজাদ শেখের ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৪) ও একই গ্রামের আজিজ শেখের ছেলে লিটন শেখ (৪৫)। অন্য আসামি রাজবাড়ী সদর উপজেলার শহীদ ওহাবপুর গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে আক্কাস আলী মিয়াকে (৪৩) কারাগারে পাঠানো হয়। আক্কাস আলী রূপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

এর আগে, সকালে রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইফতেখারুল আলম প্রধানের ওপর হামলার ঘটনায় সদর থানার এসআই নীহারিকা বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এসআই মোতালেব।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, রবিবার বিকালে ৯ জনের নামে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি মারামারির জিডি করতে আসেন লিটন ও শফিকুল। ওই সময় থানায় ডিউটি অফিসার ছিলেন এসআই নীহারিকা। ৯ জনের নামে জিডির বিষয়টি এসআই নীহারিকার কাছে সন্দেহজনক মনে হয়। তখন তিনি তাদের ওসির রুমে নিয়ে যান। ওসি বিষয়টি খোঁজ নেওয়ার জন্য এক এসআইকে নির্দেশ দেন। পরে খোঁজ নিয়ে দেখেন তাদের সঙ্গে ২-৩ জনের ঝামেলা হয়েছে। তখন ওসি ইফতেখারুল আলম প্রধান তাদের জেরা করতে শুরু করেন।

এ সময় লিটন অপর সহযোগী আক্কাসকে কল দিয়ে মোবাইল ফোন পকেটে রেখে দেন। বিষয়টি ওসি দেখে ফেললে তাদের পকেটে কী আছে এবং সেটা বের করতে বলেন। ওই সময় শফিকুলের শরীর তল্লাশি করে বৈদ্যুতিক শক দেওয়ার একটি মেশিন বের করা হয়। এতে শফিকুল ক্ষিপ্ত হয়ে এবং ওই মেশিন দিয়েই ওসির ওপর আক্রমণ চালান। এতে তার মুখের খানিকটা অংশ রক্তাক্ত ও জখম হয়। পরে পুলিশ শফিকুল ও তার অপর সহযোগী লিটন ও আক্কাসকে আটক করেন।

রাজবাড়ী পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। তবে ঘটনাটি যে ঘটিয়েছেন সেই শফিকুলের সিডিএমএস যাচাই করে দেখা গেছে তার নামে মারামারির আরও একটি মামলা রয়েছে। তিন জনকে এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা ও হত্যাচেষ্টার মামলা করেছে। আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।