Bratya Basu: মোদীর গুণকীর্তন করে নাটকের ফতোয়া, না মানলে বন্ধ অনুদান, দাবি ব্রাত্যের

লোকসভার ভোটের আগে কৌশলে নাটকের মাধ্যমে নিজের প্রচার করতে চাইছে মোদী সরকার। সম্প্রতি কেন্দ্রের অনুদানপ্রাপ্ত নাট্যদলগুলিকে একটি ছোট নাটক পাঠানো হয়েছে। যে নাকটটি আসলে কেন্দ্রের গুণগান। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে নাটকটি তুলে দিয়ে এমনটাই দাবি করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শুধু তাই নয় তিনি লিখেছেন, নাটকটি না করলে কেন্দ্রের অনুদান বন্ধ হয়ে যাবে।

হিন্দিতে লেখা নাটকটির নাম ‘লে আও বাপস সোনে কি চিড়িয়া’ অর্থাৎ সোনার পাখি ফিরিয়ে আনো। তিনপাতার সেই নাটকটির কপি তিনি এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন। ব্রাত্যর দাবি, ‘এই নাটকে অভিনয় সর্বত্র করতে হবে। অভিনয়টি না করলে কেন্দ্রের পাঠানো মোটা অনুদান ও অর্থ বরাদ্দ করা বন্ধ হয়ে যাবে।’

পড়ুন। নিয়োগে দেখা গেল আশার আলো, সুপার নিউমেরারি পদে নিয়ে রাজ্যের হলফনামা চাইল আদালত

পড়ুন। OMR শিট দেখার সময় বাড়াল হাইকোর্ট, সিবিআই-এর ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি

তবে নাট্যকার, অভিনেতা, তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু মনে করেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের থিয়েটার দলগুলো যেহেতু মূলত বামপন্থী, সেকুলার, তাঁরা সবাই এই প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবেন।’ কেন্দ্রীয় সরকারেকে কটাক্ষ করে ব্রাত্য বলেন, ‘ঠ্যালার নাম বাবাজি, কাকে বলে দ্যাখ এবার।’

শিক্ষামন্ত্রীর এই অভিযোগের পরই বিজেপির অন্যতম তারকা নেতা রুদ্রনীল ঘোষ কটাক্ষ করে সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘রাজ্য সরকার যখন নাট্য উৎসব বন্ধ করে দিল, তখন ব্রাত্য বসু চুপ ছিলেন। যখন নাট্যশিল্পীদের মারধর করা হয়, তখনও তিনি চুপ ছিলেন।’

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ডিএ আন্দোলনের মঞ্চে একটি নাটক অভিনীত হয়। ‘জগাখিচুড়ি’ নামক সেই নাটকটি করে চকদাহ নাট্য সংস্থা। পরে সেই নাটক পরিবেশন করার জন্যে, কল্যাণী পুরসভা নাট্য উৎসবের অনুমতি দেয়নি বলে অভিযোগ। এর ফলে তৈরি হয় বিতর্ক।  প্রতিবাদ করেন নাট্যকর্মীদের একাংশ।  রুদ্রনীলের ইঙ্গিত সেই দিকেই।

অন্যদিকে বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তীর টিভি নাইন বাংলাকে জানান, কেন্দ্রের তরফে একটি নাটকের স্ক্রিপ্ট এসেছে। তাঁর দাবি, ওই নাটক অভিনীত না হলে অনুদান বন্ধ হয়ে যাবে, এমন কোনও কথা লেখা নেই। তিনি নিজে সেই স্ক্রিপ্ট ইতিমধ্যেই পড়ে দেখেছেন। তাঁর দাবি, ওই নাটকের স্ক্রিপ্টে কোথাও প্রধানমন্ত্রীর গুণগান নেই।

পড়ুন। সম্পত্তি কর কি বছরের পর বছর ধরে বকেয়া? কলকাতা পুরসভায় ছাড়ের সুবিধায় বিরাট বদল