Civic Society Rally: ভয়ে ও ভাতায় ওরা মোমবাতির দোকান খুঁজে পাচ্ছে না, কাদের একথা বললেন রূদ্রনীল?

সন্দেশখালিতে নারীদের যৌন নির্যাতনের চাঞ্চল্যকর অভিযোগে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে কলকাতায় মিছিল করলেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। ধর্মতলা থেকে গান্ধী মূর্তি পর্যন্ত মিছিলে পা মেলান নাগরিক সমাজের বহু প্রতিনিধি। ছিলেন কামদুনির প্রতিবাদী মৌসুমী ও টুম্পা কয়াল। ছিলেন অভিনেতা রূদ্রনীল ঘোষ। ছিলেন শিল্পী সমীর আইচ।

এদিনের মিছিল থেকে সন্দেশখালিতে অভিযুক্তদের ধিক্কার জানানো হয়। সঙ্গে তাদের গ্রেফতারির দাবিতে স্লোগান ওঠে মিছিল থেকে।

আরও পড়ুন: নিয়োগে দেখা গেল আশার আলো, সুপার নিউমেরারি পদে নিয়ে রাজ্যের হলফনামা চাইল আদালত

মিছিল শেষে কামদুনির প্রতিবাদী মৌসুমী কয়াল বলেন, ‘সন্দেশখালিতে যে ভাবে মহিলাদের ওপর অত্যাচার হয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না। বিশেষ করে যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা, তিনি সব সময় বলেন, আমরা মহিলাদের সুরক্ষার জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ১০০০ টাকা দিচ্ছি। কিন্তু সেই লক্ষ্মীরাই আজ নির্যাতিত, অত্যাচারিত। শাহজাহানের মতো একজন দুষ্কৃতীকে এখুনি গ্রেফতার করা হোক। তার সঙ্গে যে কর্মীরা আছে তাদেরকেও গ্রেফতার করা হোক’।

আরও পড়ুন: বসিরহাটে BJP-র SP অফিস অভিযানে ধুন্ধুমার, রাস্তার পাশ থেকে উড়ে এল ইট

প্রতিবাদী টুম্পা কয়াল বলেন, ‘কামদুনির দোষীরা বেকসুর খালাস পেয়ে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কামদুনিতে একজনের সঙ্গে যা ঘটেছিল সন্দেশখালির হাজার হাজার মহিলার সঙ্গে দিনের পর দিন তাই ঘটেছে। সন্দেশখালির মহিলাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে বলে তারা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন। আর সেখানকার সাংসদ নুরসরত জাঁহা অডিয়ো বার্তা পাঠিয়ে দায় সারছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ওখানে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা সবাই না কি গ্রেফতার হয়েছে। শাহজাহান কোথায় গ্রেফতার হয়েছে?’

রূদ্রনীল বলেন, ‘ভয়ে বা ভাতায় নাগরিক সমাজের অনেক প্রতিনিধি এই বীভৎস নারকীয়তার অভিযোগ শুনেও মোমবাতির দোকান খুঁজে পাচ্ছেন না।’