ফের ঘটনাস্থল আমেরিকা! ইন্দো-মার্কিন পরিবারে শিশু সহ ৪ সদস্যের দেহ উদ্ধার ২ মিলিয়ন US ডলারের বাড়ি থেকে

কয়েকদিন আগেই আমেরিকায় প্রযুক্তিবিদ বিবেক তনেজার মৃত্যুর খবর। ৪১ বছর বয়সী তানেজাকে এক রেস্তোঁরার সামনে মারধর করা হয়। যার পর তিনি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর মারা যান। এদিকে, তারপর আমেরিকায় আরও এক ইন্দো-মার্কিন পরিবারে মর্মান্তিক মৃত্যুর ছায়া। এবার ঘটনা, কেরল থেকে ক্যালিফোর্নিয়ায় গিয়ে বসবাসকারী আনন্দ সুজিত হেনরি ও তাঁর পরিবারের মৃত্যুর। তাঁর দুই যমজ সন্তান ও স্ত্রী সহ আনন্দের মৃত্যু ঘিরে বহু প্রশ্ন উঠছে।

উঠছে বহু প্রশ্ন:-

উল্লেখ্য, সদ্য আমেরিকায় ডায়নামো টেকনোলজিসের প্রতিষ্ঠাতা বিবেক তানেজার মৃত্যু হয়েছে। যাঁর বয়স ৪১ বছর। এক মারধরের ঘটনার পর গুরুতর আহত তানেজার মৃত্যু হয়। এরপর আনন্দ সুজিত হেনরির মৃত্যু। যাঁর বয়স ৪২ বছর। উল্লেখ্য, আর্থিকভাবে বিবেক তানেজাও বেশ স্বচ্ছ্বল পরিবারের ছিলেন বলে জানা যায়, আর আনন্দের পরিবারের চারজনের দেহ আমেরিকায় ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে। বহু দিক নিয়ে এই চার মৃত্যু প্রশ্ন তুলছে। এছাড়াও পুলিশ বলছে, এই চারজনের মধ্যে ২ জনের শরীরে রয়েছে গুলির চিহ্ন। তবে বাকি ২ জনের দেহে তা পাওয়া যায়নি। কীভাবে ওই ২ জনের মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। পুলিশ বলছে, এঁদের মৃত্যু খুন-আত্মহত্যা ধর্মী। তবে স্পষ্টভাবে খুন , নাকি আত্মহত্যা তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। এদিকে, আমেরিকায় ভারতীয় দূতাবাসের তরফে এই মৃত্যু ঘিরে শোক জানানো হয়েছে। 

মৃত্যু কীভাবে?

উল্লেখ্য, ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান মাতেওতে নিজের বাড়ি থেকে আনন্দ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। সুজিতের স্ত্রী ৪০ বছরের অ্যালিস প্রিয়াঙ্কা। তাঁদের দুই যমজ সন্তান নোয়া নেইথেন ও আনন্দের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পাড়া পড়শি আত্মীয়রা বলছেন, এই মৃত্যু কার্বন মনোঅক্সাইডের বিষক্রিয় থেকে হতে পারে। যা এয়ার কন্ডিশনার বা হিটার থেকে আসতে পারে। তাহলে বাকি দু’জনের দেহে যে গুলি লাগার চিহ্ন রয়েছে, তা কোথা থেকে আসছে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

 ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাড়ি থেকে উদ্ধার দেহ-

আনন্দ ও তাঁর স্ত্রী অ্যালিস দুজনেই তথ্য প্রযুক্তিকর্মী। গত ৯ বছর ধরে তাঁরা আমেরিকায়। তাঁরা নিউ জার্সি থেকে ২ বছর আগেই স্যান ম্যাতিওতে এসেছেন। কিনেছেন ২.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাড়ি। তাঁদের পড়শি আর বন্ধুরা বলছেন, ওঁরা খুবই মিশুকে ও পরিশ্রমি ছিলেন। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে এটি কি খুন? নাকি এই মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে?