বাথরুমে ককটেল বিস্ফোরণ, পুলিশ সদস্যসহ আহত ৩

বরিশালের গৌরনদীতে বোমা বিস্ফোরণে দুই পুলিশ সদস্যসহ তিনজন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার বড় কসবা ইসলামিয়া মিশনের পেছনে এ ঘটনা ঘটে। 

গৌরনদী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, উপজেলার বড় কসবা ইসলামিয়া মিশনের পেছনের একটি বাড়ির টয়লেটে বোমা রাখা হয়েছিল। খবর পেয়ে পুলিশ সেগুলো উদ্ধার করতে যায়। উদ্ধার করার পর বালতিতে ভেজানো অবস্থায় ‘অসতর্কতা’য় একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আমাদের এসআই কামাল হোসেন ও কনস্টেবল মিজানুর রহমান আহত হন। এছাড়া স্থানীয় বাসিন্দা মাসুম হাওলাদার গুরুতর আহত হয়েছেন।

তিনি বলেন, টয়লেটে কারা বোমা রেখে গেছে তা শনাক্তে ইতোমধ্যে পুলিশ কাজ করছে। ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে কোনো নাশকতার চেষ্টা হয়েছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড় কসবা ইসলামিয়া মিশনের পেছনে মাসুম হাওলাদারের বাড়ি। তার বসত ঘরের পাশে একটি টয়লেট রয়েছে। সকালে মাসুম সেটিতে তালা দেওয়া দেখতে পান। প্রতিবেশী কেউ তালা দিয়েছেন কি না খবর নেন তিনি। কিন্তু কেউ কিছু জানাতে না পারায় তালা ভেঙে দেখেন টয়লেটের ভেতরে একটি বাজারের ব্যাগে লাল স্কচটেপ পেঁচানো তিনটি ককটেল রয়েছে। তিনি ৯৯৯ নম্বরে কল করে বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ গিয়ে ককটেলগুলো উদ্ধার করে একটি বালতিতে পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখে।

মাসুম হাওলাদার জানা, এসময় একটি ককটেল ভেসে উঠলে এসআই কামাল লাঠি দিয়ে খোঁচা মেরে সেটিকে মাটিতে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।

খবর পেয়ে গৌরনদী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সেখান থেকে দুজনকে বরিশালের হাসপাতালে নেওয়া হয়। 



বাঁধন/সিইচা/সাএ