Farmers’ Protest Latest Update: ‘পাশবিক বল প্রয়োগ সরকারের’ অভিযোগ কৃষকদের, মমতার ‘পথ’ অনুসরণের বার্তা সিধুর

দিল্লি চলো ২.০-র দ্বিতীয় দিনেও ধুন্ধুমার কাণ্ড পঞ্জাব-হরিয়ানার শম্ভু সীমান্তে। আজও সকাল থেকেই পঞ্জাব সীমান্ত পার করে হরিয়ানা প্রবেশ করার চেষ্টা করেন কৃষকরা। তবে আজও পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় কৃষকদের। এর আগে গতকালও দিল্লিমুখো কৃষকদের আটকাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়েছিল পুলিশ। বিরোধীরা সরকারের এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছিল। তবে আজও আন্দোলনরত কৃষকদের ওপর পুলিশ ‘হামলা’ চালিয়েছে বলে অভিযোগ। আজও কৃষকদের রুখে দিতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়। কৃষকদের বক্তব্য, ‘আমরা সংঘর্ষ চাই না। তবে সরকার আমাদের শত্রু হিসেবে বিবেচনা করছে।’ (আরও পড়ুন: আরও বিপাকে বিজয়, ‘দাবি’ খারিজের পরও সত্যি সত্যি পেটিএম-এর বিরুদ্ধে তদন্তে ইডি!)

আরও পড়ুন: ‘হাতে হাতে পদ্ম’, কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নাতি

এদিকে পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তের ধুন্ধুমার কাণ্ডের মাঝেও সরকারের তরফ থেকে দাবি করা হয়, তাঁরা কৃষকদের সঙ্গে আলোচা করতে রাজি। এদিকে পঞ্জাব পুলিশ আজও কৃষকদের আটকায়নি। তবে তারা সতর্ক রয়েছে। পঞ্জাব সীমান্তের হাসপাতালগুলিকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এদিকে কংগ্রেস নেতা নভজ্যোৎ সিং সিধু দাবি করেছেন, পঞ্জাবের মাটিতে কৃষকদের ওপর হরিয়ানা সরকারের ‘হামলা’ রুখে দেওয়া উচিত ভগবন্ত মান সরকারের। সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় সিধু লেখন, ‘পঞ্জাবের উচিত নিজেদের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। আমাদের মাটিতে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করা পঞ্জাবিদের আক্রমণ বা জখম করছে হরিয়ানা। তাদের এই প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করতে হবে – আমাদের ফেডারেল কাঠামোকে প্রচণ্ডভাবে রক্ষা করতে হবে। বাংলায় সিবিআই অফিসাররা অনুপ্রবেশ করার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে তাদের গ্রেফতার করেছিলেন, সিদ্দারামাইয়া যা করেছিলেন, ভগমন্ত মানকেও তাই করতে হবে।’ (আরও পড়ুন: UAE-তে হঠাৎ প্রধানমন্ত্রী মোদীর মুখে আরবি ভাষা, দেখুন সেই ভাইরাল ভিডিয়ো)

আরও পড়ুন: নেই ‘সংখ্যা’, তাও ওড়িশা থেকে অশ্বিনী বৈষ্ণবকে রাজ্যসভার প্রার্থী করল BJP

উল্লেখ্য, আন্দোলনরত কৃষকদের দিল্লিতে প্রবেশ করা থেকে রুখতে রাস্তায় কনক্রিটের ব্যারিকেড তৈরি করে দিল্লি ও হরিয়ানা পুলিশ। এরই মাঝে কৃষকরা গতকাল পঞ্জাব-হরিয়ানা শম্ভু সীমানায় পৌঁছলে ড্রোনে করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় হরিয়ানা পুলিশ। কৃষকদের বক্তব্য, কৃতৃপক্ষ বা প্রশাসনের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধাতে চাইছেন না তাঁরা। তাঁরা রাস্তা অবরোধ করেননি। সরকার নিজেরাই বিগত ২-৩ দিন ধরে রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে। এদিকে হরিয়ানা সরকারকে তোপ দেগে আন্দোলনরত কৃষকরা বলে, হরিয়ানাকে কাশ্মীরে পরিণত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডার বক্তব্য, আমরা আলোচনার জন্যে প্রস্তুত। এদিকে কৃষকদের ওপর হামলা প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দেগেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে অখিলেশ যাদবরা।