Governor on Sandeshkhali: সন্দেশখালি নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্ত করুন, রাজ্যকে পরামর্শ বোসের, কটাক্ষ কুণালের

সন্দেশখালির সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল। এলাকা সরেজমিনে পর্যবক্ষেণ করে একটি ‘রিপোর্ট কার্ড’ তৈরি করেছেন তিনি। সেই ‘রিপোর্ট কার্ড’-এর উপর ভিত্তি করে রাজ্য সরকারকে বেশ কিছু পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। মৃল অভিযুক্ত ও তার সঙ্গীদের গ্রেফতার করার পাশাপাশি সেখানে কী ঘটেছে তা খতিয়ে দেখার জন্য বিচারবিভাগীয় তদন্তের পরামর্শ দিয়েছেন। 

সন্দেশখালির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্য সিভি আনন্দ বোস সেখানে যান। সেখান তিনি মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন। এর পর তিনি দিল্লি চলে যান।

বুধবার দিল্লি থেকে ফিরেছেন তিনি। সেই সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ে একটি রিপোর্ট কার্ড তৈরি করেছেন তিনি। সেই রিপোর্ট কার্ডে শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরা-সহ ৬ জনের নাম আছে।

দিল্লি থেকে ফিরে রাজ্যপাল বলেন, ‘এই রিপোর্ট কার্ডটি বাংলার জনগণের রিপোর্ট কার্ড। এর উপর ভিত্তি করে আমি আমার নির্দেশ সরকারকে দেবো।’ 

রিপোর্ট কার্ডটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠানো হয়েছে কি না সে প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেন, ‘আমার প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে বাংলার মানুষের কাছে রিপোর্ট দেওয়া তারপর পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে রিপোর্ট দেওয়া এবং তারপর কেন্দ্রীয় সরকারকে রিপোর্ট দেওয়া। আমার প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে বাংলার মানুষের কাছে রিপোর্ট দেওয়া তারপর পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে রিপোর্ট দেওয়া এবং তারপর কেন্দ্রীয় সরকারকে রিপোর্ট দেওয়া। আমায় কিছুটা সময় দিন। এটা সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর জন্য।আজ মধ্যরাতে আমার নির্দেশিকা সংবিধানের ১৭৫(২) ধারা অনুযায়ী সরকারের কাছে পৌঁছে যাবে। তারপরে এই বিষয়ে আমি বলব।’

বিরোধীদের সন্দেশখালি যেতে বাধা দেওয়া এবং শাসকদলকে অনুমতি দেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি, যারা যাদের থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার আশা করা হয় তাদেরকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। না হলে মানুষ তার জোর অন্য উপায় দেখাবে।’

সন্দেশখালির ঘটনার তদন্তে একটি বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করার প্রস্তাব দিয়েছেন রাজ্যপাল।  সরকার যাতে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করে, সেই পরামর্শও দিয়েছেন বোস।

কুণালের সমালোচনা

রাজ্যপালের রিপোর্ট কার্ডের তীব্র সমালচনা করেছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘রাজ্যপালের রিপোর্ট পক্ষপাতদুষ্ট, ভিত্তিহীন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রাজ্যপালের পরিস্থিতি জানার ইচ্ছা থাকলে প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলতেন। সিপিএম, বিজেপির কথা শুনে রিপোর্ট দিচ্ছেন। এটা ঠিক হচ্ছে না। চাপড়ায় গিয়ে দেখুন। রিপোর্ট দিন। তাঁর গলায় বিরোধীদের কণ্ঠস্বর প্রতিধ্বনিত হচ্ছে তা ঠিক নয়।’