Narayan Goswami: গায়ের রং আর শারীরিক গঠন দেখে আদিবাসী মহিলাদের চিনতে পারি, TMCর নারায়ণ গোস্বামী

গায়ের রং দেখে আদিবাসী মহিলাদের চেনা যায়। সন্দেশখালিতে যে সমস্ত মহিলারা ক্যামেরার সামনে এসেছেন তারা সব ধবধবে ফর্সা। তাহলে কি তাঁরা আদিবাসী? প্রশ্ন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীর। বুধবার সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এই বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি।

নারায়ণবাবু বলেন, ‘একটা তফশিলি বা আদিবাসী মহিলাকে দৈহিক গঠন বা দেহের রং দেখে চেনা যায়। মনে রাখবেন, কে ফর্সা, কে শ্যামবর্ণ এটা দেখে বোঝা যায়। কিন্তু ক্যামেরার সামনে যে সব মহিলারা এসেছেন তারা সব ধবধবে ফর্সা। তাহলে কি তারা আদিবাসী? এই প্রশ্নটা তারা রেখেছেন। আমরা দলগতভাবে এর তদন্ত করছি। দরকার হলে আমরা পুলিশকে দেব। কিছু তথ্য ইতিমধ্যে আমাদের সামনে উঠে এসেছে। যে মুখগুলোকে সামনে আনা হয়েছে তারা সিপিএমের মহিলা সমিতির সদস্যা। কেউ আশা কর্মী। কেউ ICDS কর্মী। তাদেরকে সামনে রেখে একটা নাটক তৈরি করা। যে বাচ্চাটাকে আপনারা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখাচ্ছেন তাঁকে স্ক্রিপ্ট পড়িয়ে আনা হয়েছে’।

নারায়ণবাবুর এহেন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, অত্যন্ত নিম্নরুচির আপত্তিকর মন্তব্য। তৃণমূলের কাছে এটাই প্রত্যাশিত। ওদের মন্ত্রী রাষ্ট্রপতির চেহারা নিয়ে কুমন্তব্য করেছেন। ওদের নেতারা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের শারীরিক গঠন নিয়ে রসিকতা করেন। বাদ যাননি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। আমি তফশিলি জাতি ও উপজাতি কমিশনকে বলব নারায়ণ গোস্বামীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় FIR করা উচিত।

বলে রাখি, মঙ্গলবার তৃণমূলের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের সঙ্গে সন্দেশখালিতে গিয়েছিলেন নারায়ণ গোস্বামী। সেখানে মহিলাদের সঙ্গে দেখা করে পার্থবাবু দাবি করেন, যে অভিযোগ সিপিএম – বিজেপি করছে তা ভিত্তিহীন। তখনই হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা প্রশ্ন তুলেছিল, মহিলাদের সঙ্গে কথা বলতে পুরুষ তৃণমূল নেতা কেন? তৃণমূলের মহিলা নেত্রীরা কোথায়? একজন পুরুষ নেতার সামনে কি সম্ভ্রম লুণ্ঠনের কাহিনী বলতে স্বচ্ছন্দ বোধ করবেন গ্রাম্য মহিলারা।