India UAE :ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ ইকোনমিক করিডর নিয়ে UAEর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর দিল্লির! মোদীর আরব সফর থেকে কী কী পেল?

আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানকে ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করে দুই নেতার মধ্যে পারম্পরিক ঘনিষ্ঠতার পরিচয় সদ্য দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবারই তিনি আবুধাবিতে পৌঁছন। সেখানে গিয়ে আবুধাবির প্রথম হিন্দু মন্দিরের উদ্বোধন করেন মোদী। তবে মোদীর এই সফরে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে। আরব আমিরশাহির সঙ্গে ভারতের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। যে চুক্তিগুলি বাণিজ্যিকভাবে ভারতের দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ।

মোদীর আমিরশাহি সফরে একাধিক বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেই সমস্ত চুক্তির মধ্যে রয়েছে, বন্দর পরিকাঠামো উন্নয়ন, শক্তি সম্পর্কিত বাণিজ্য, দ্বিপাক্ষিক প্রচার, ইউপিআইয়ের মতো ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের ইন্টারলিঙ্কিং সহ একাধিক ইস্যুতে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এছাড়াও ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডের ইন্টারলিঙ্কিং নিয়েও হাইভোল্টেজ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তবে নজরকাড়া হিসাব উঠে এসেছে ‘ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ’ ইকোলমিক করিডরের ফ্রেমওয়ার্ক সম্পর্কিত একটি চুক্তি। যা স্বাক্ষর করেছেন মোদী। আরব আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে বৈঠকের আগে মোদী বলেন, ‘

আমি যখনই এখানে এসেছি, আমার মনে হচ্ছে আমি বাড়িতে এসেছি এবং আমি আমার পরিবারের সাথে আছি।’ আমিরশাহির প্রেসিডেন্টকে ‘ভাই’ বলেও সম্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। পরে আবুধাবির বুকে এই চুক্তি নিয়ে বক্তব্য রাখেন মোদী। তিনি সেখানে জানান,’ আবুধাবি বিমানবন্দরে আমাকে অভ্যর্থনা করার জন্য সময় দেওয়ার জন্য আমার ভাই, HH @MohamedBinZayed-এর কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ’।

দুই দেশের ঘনিষ্ঠতা:-

প্রসঙ্গত, গত ৭ মাসে মোদী ও মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান পরম্পর পরম্পরের মুখোমুখি হন ৫ বার। এদিকে, মোদীর ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর এই নিয়ে ৫ বার আরব আমিরশাহির সফরে গিয়েছেন। অন্যদিকে, আবুধাবিতে প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠকের পর দুই নেতার বৈঠক হয়। বৈঠক ঘিরে বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, একের পর এক এবং প্রতিনিধি পর্যায়ের আলোচনার পর,দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক অংশিদারিত্ব পর্যালোচনা করেছেন এবং সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেছেন।

বিদেশমন্ত্রক কী বলেছে?

দুই দেশের মধ্যে এই বৈঠক ঘিরে বিদেশমন্ত্রকের প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা (UAE) বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল অবকাঠামো, ফিনটেক, জ্বালানি, অবকাঠামো, সংস্কৃতি এবং জনগণের মধ্যে বন্ধন সহ বিভিন্ন খাতে ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্বের গভীরতাকে স্বাগত জানায়। আলোচনায় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সমস্যাও ছিল। জানা গিয়েছে, যাতে দুই দেশেই বিনিয়োগ বাড়ে, সেই দিকে তাকিয়েও একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।