MP Politics: ক্ষমতায় বিজেপি, তাও শিবরাজ জমানায় নিযুক্তরা হারাচ্ছেন পদ, মধ্যপ্রদেশে ক্রমশ কমছে মামাজির প্রভাব?

লোকসভার আগে মধ্যপ্রদেশের বুকে বিভিন্ন বোর্ড, কর্পোরেশনে চেয়ারপার্সন, ভাইসচেয়ারপার্সনের পদে নিয়োগ হওয়া ৪৫ জনকে তাঁদের পদ থেকে সরানো হল। উল্লেখ্য, এই চেয়ারপার্সনরা মন্ত্রিসভার পদমর্যাদা সম্পন্ন হয়ে থাকেন। তাঁদের ডেপুটিরা বা ভাইস চেয়ারপার্সনরা প্রতিমন্ত্রীর সমতুল্য পদমর্যাদা পান। ফলত, মধ্যপ্রদেশে বিজেপির পূর্ববর্তী শিবরাজ সরকারের আমলে যে ৪৫ জনের নিয়োগ বিভিন্ন বোর্ড ও পুরসভার চেয়ারপার্সন, ভাইস চেয়ারপার্সন হিসাবে হয়েছিল, এবার তাঁদের পদ থেকে সরানো হল বিজেপির শাসনাধীন মোহন সরকারের আমলে।

সদ্য, চলতি সপ্তাহেই ওই পদস্থদের ৪৫ জনকে পদ থেকে সরানোর নোটিস এসে গিয়েছে। যা কার্যত অনেককেই ‘সারপ্রাইজ’ করেছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি বিজেপির ক্ষমতাধীন মধ্যপ্রদেশে মামাজির প্রভাব কমছে? বর্তমানে মোহন-গড় মধ্যপ্রদেশে এই পদস্থদের পদ খোয়ানোর ঘটনা রাজনৈতিক অলিন্দের চর্চায় এসেছে। কারণ, এই নিয়োগগুলি রাজনৈতিক নিয়োগ। আর তাতে মতামত থাকে পার্টির। ফলে লোকসভার আগে, মধ্যপ্রদেশে শিবরাজের রাজনৈতিক অস্তিত্ব নিয়ে নানান জল্পনা উঠছে। কয়েকমাস আগেই মধ্যপ্রদেশে হয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। রাজনৈতিক সূত্রের দাবি, এই ৪৫ থালি পদে, লোকসভার পর নিয়োগ হবে। এক ধাক্কায় ৪৫ জনের এভাবে পদ খোয়ানোর ঘটনা, মধ্যপ্রদেশের বিজেপির অন্দরের রাজনীতি নিয়েও প্রশ্ন তুলছে। এর থেকে স্পষ্ট যে, বিজেপির মোহন যাদব সরকার, নিজের রাজনৈতিক পরিকাঠামো নিজের মতো করে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন। অন্তত, শিবরাজ আমলের নিযুক্তদের পদ খোয়ানো নিয়ে এমনই জল্পনা উঠে আসছে।

( কঠোর ‘ডিফেন্স ট্রেনিং’ কাতারের জেলে মৃত্যুদণ্ডের সাজার মাঝে টিকে থাকতে সাহায্য করেছিল! মুখ খুললেন প্রাক্তন নৌসেনা কর্মী)

এদিকে,  ১২ দিন আগেই মধ্যপ্রদেশে ১৫ জন আইএএস অফিসারকে বদলি করা হয়েছে। এই ১৫ জনের মধ্যে অনেকেই শিবরাজ ঘনিষ্ঠ বলে খবর। এদিকে, মোহন যাদব ক্ষমতায় আসার পর ১১০ জন আইএএস ও আইপিএস-র বদলি হয়েছে। গোটা রাজ্যসরকারি আমলা-মহল কার্যত মোহন সরকার ওলট পালট করে নতুন করে সাজিয়ে তুলছেন বলে মনে করছেন অনেকেই। এদিকে, সদ্য চলতি সপ্তাহে এসেছে সেরাজ্যে ৬০ টি তাবড় পদের মধ্যে ৪৫ টি পদে আসীনদের পদ খোয়ানোর নোটিস। ফলে লোকসভা ভোটের আগে, মধ্যপ্রদেশে বিজেপির অঙ্ক কোনদিকে যাচ্ছে, তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা। প্রসঙ্গত, রাজনীতি প্রভাবিত নিয়োগের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা বেশ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে।