Offbeat Darjeeling Tour: ঘুরে আসুন দার্জিলিংয়ের কাছের এই গ্রামে, এখানেই আছে হাওয়াঘর, প্রেমে পড়ে যাবেন

মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকের পরে অনেকেরই মনে হয় একটু বেড়িয়ে আসি। ক্লাসের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরেও বেড়ানোর হিড়িক পড়ে যায়। কিন্তু যাবেন কোথায়?

ভিড়ে ঠাসা দার্জিলিং নাকি একটু নিরিবিলিতে পাহাড়়ের কোলে দিন দুয়েক কাটিয়ে আসা। আপনার ইচ্ছা যদি দ্বিতীয়টা হয় তবে ঘুরে আসতে পারেন চাটাইধুরা। যারা একটু আধটু অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসেন তাদেরও এই জায়গাটা মন্দ লাগবে না। জঙ্গলের মধ্য়ে দিয়ে রাস্তা। অনেকটা এগোলে তবে ভিউ পয়েন্ট। এটাই হাওয়াঘর। সেখান থেকে উন্মুক্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা। তবে বলে রাখা ভালো এই রাস্তায় জোঁকের উৎপাত রয়েছে। বিশেষত বর্ষার পরপর গেলে সমস্যা বাড়তে পারে। সেকারণে এই জোঁক থেকে অবশ্য়ই সাবধানে থাকবেন।

দার্জিলিং শহর থেকে মাত্র ১৮ কিমি দূরে এই গ্রাম। চাটাইধুরা। ছবির মতো সুন্দর গ্রাম। প্রায় ৬৯৫৬ ফুট উচ্চতায় রয়েছে এই গ্রাম। নির্জন, নিরিবিলি। আর তার সঙ্গে যে শব্দটি সবার আগে আসে সেটা হল অপূর্ব সুন্দর। কুয়াশায় মোড়া পাহাড়ি গ্রাম।

একাধিক হোমস্টে রয়েছে এখানে। সেখানে থাকতে পারেন। পাহাড়ে বেড়াতে গেলে যা কিছু চান আপনি সবটা পাবেন এখানে। চাটাইধুরাতে পাহাড়ের কোলে আছে শিবের একটি সুন্দর মন্দির। সেখানেও দুদন্ড কাটিয়ে দিতে পারেন। কাছাকাছি যে সমস্ত পর্যটন সমৃদ্ধ জায়গাগুলি রয়েছে তার মধ্য়ে অন্য়তম হল ঘুম মনাস্ট্রি, ঘুম রেল স্টেশন, টাইগার হিল, হিমালয়ান মাউন্টেনারিং ইনস্টিটিউট সহ একাধিক দ্রষ্টব্য জায়গা।

তবে এখানে এলে হাওয়াঘর ভিউ পয়েন্টে যেতে ভুলবেন না। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথে যেতে হবে আপনাকে। জঙ্গলের মধ্য়ে দিয়ে পায়ে চলা পথ। এক আদিম প্রকৃতির সন্ধান পাবেন আপনি। তবে বর্ষার পরে এই রাস্তায় জোঁকের উৎপাত থাকে। সেক্ষেত্রে সাবধান। ফুল প্যান্ট আর ঢাকা জুতো পরে অবশ্যই যাবেন। না হলে সমস্য়া হতে পারে। তবে গেলে যে দৃশ্য দেখবেন তা মনে থাকবে অনেকদিন। শেওলায় ঢাকা সিঁড়ি দিয়ে উঠে পড়ুন ব্রিটিশ আমলে তৈরি ভিউ পয়েন্টে। সবুজে সবুজ গোটা পথ। কাছেই মানে তিন কিমি দূরে রয়েছে লেপচাজগত। গুহা মন্দিরটা দেখতে ভুলবেন না।

সন্ধ্যাবেলাতে কাছে পিঠে একটু বেড়িয়ে আসুন। কিছুটা গেলেই দেখা যাবে আলোর নেকলেস পরে শুয়ে রয়েছে দার্জিলিং।

তবে দিন দুয়েক কাটিয়ে দেওয়ার জন্য চাটাইধুরা বেশ সুন্দর। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে সরাসরি গাড়িতে আসতে পারেন চাটাইধুরা। এখানকার দূরত্ব প্রায় ৭২ কিমি। দার্জিলিংগামী বাসে সস্তায় ঘুম পর্যন্ত এসে, তারপর সুখিয়াপোখরির গাড়িতে শিবমন্দির স্টপেজে নেমে পড়ুন। কাছেই রয়েছে হোমস্টে।