চোখে-মুখে সুপার গ্লু লাগিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ: যা বললো গ্রেফতার আসামি

খুলনার পাইকগাছায় চুরি করতে গিয়ে গৃহবধূর চোখে সুপার গ্লু লাগিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলায় ইমামুল জোয়াদ্দার ওরফে এনামুল নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার এ তথ্য জানান।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে পাইকগাছা থানাধীন কপিলমুনি এলাকা থেকে ইমামুল জোয়াদ্দার ওরফে এনামুলকে আটক করে পুলিশ। তার দেহ তল্লাশি করে একটি আগ্নেয়াস্ত্র (ওয়ান শুটার গান), ইয়াবা এবং চেতনানাশক ট্যাবলেট পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে, ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে আসামি ওই গৃহবধূর বাড়িতে প্রবেশ করে খাবারে চেতনানাশক ওষুধ দিয়ে চলে যায়। পরে রাত ২টার দিকে বাড়িতে প্রবেশ করে। এরপর মূল্যবান জিনিসপত্র খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে গৃহবধূর ঘুম ভেঙে গেলে চোখে-মুখে সুপার গ্লু লাগিয়ে দেয়। আসামি কান থেকে দুল টান দিলে কানের লতি ছিঁড়ে প্রচুর রক্ত বের হয়। তখন গৃহবধূ জোরে গোঙরাতে থাকেন। সে সময় পাশের বাড়ির একজন নারী চোর চোর বলে ঘরের বেড়ার টিনে বাড়ি দিলে আসামি এনামুল মোবাইল ফোন ও কানের দুল নিয়ে পালিয়ে যায়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘ভুক্তভোগী গৃহবধূ এখনও স্বাভাবিক হতে পারেননি। তিনি মূলত চেতনানাশক ওষুধ ও আঘাতের শিকার। তাই কথা বলার সময় তিনি এখনও ধর্ষণের বিষয়ে কিছু বলেননি। তবে হাসপাতালে প্রয়োজনীয় আলামত নিয়ে এ বিষয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। হাসপাতালের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে পুলিশ।’

এদিকে, বুধবার অপর এক ঘটনায় গদাইপুর গ্রামের (কার্তিকের মোড়) একটি বাড়ি থেকে মোবাইল ফোন ও কানের দুল চুরি করে এনামুল। ফোনটি তার মা রাশিয়া বেগমের কছে দেয় এবং কানের দুল চুকনগর স্বর্ণপট্টিতে ‘মা জুয়েলার্স’ নামে দোকানের মালিক সুমন হালদারের কাছে বিক্রি করে। পুলিশ তাদেরও গ্রেফতার করেছে। এনামুলের বিরুদ্ধে পাইকগাছা থানাসহ আশপাশের থানায় নয়টি মামলা রয়েছে।