Bharat Bandh by farmers: আজ ভারত বনধে কী কী বন্ধ থাকবে? ‘আমরা পাকিস্তানের লোক নই’, কেন্দ্রকে বললেন কৃষকরা

আজ ভারত বনধের ডাক দিয়েছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। সকাল ছ’টা থেকে শুরু হয়েছে বনধ। চলবে বিকেল চারটে পর্যন্ত। সেইসঙ্গে বেলা ১২ টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত ‘চাকা জ্যাম’-র কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে। তার জেরে দিল্লি, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানার মতো রাজ্যের কয়েকটি অংশে পরিবহণ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা আছে। বন্ধ থাকতে পারে দোকান। ব্যাহত হতে পারে রেল পরিষেবা। তবে পশ্চিমবঙ্গে ভারত বনধের সেরকম কোনও প্রভাব পড়বে না বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের। 

সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, বনধের জেরে উত্তর ভারতের একাংশে দোকান, শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকতে পারে। চার ঘণ্টার ‘চাকা জ্যাম’ কর্মসূচির জেরে উত্তর ভারতের বিভিন্ন হাইওয়ে বা রাস্তা স্তব্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। পঞ্জাব, হরিয়ানার মতো জায়গায় ট্রেন আটকানো হতে পারে। পঞ্জাবে ‘রেল রোকো’ কর্মসূচির জেরে বৃহস্পতিবারই উত্তর রেলওয়ের কমপক্ষে ৩০টি ট্রেনের পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। ব্যাঙ্ক, সরকারি অফিস খোলা থাকছে। তবে পরিবহণ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় উপস্থিতি কম হতে পারে অফিসে।

নয়ডায় জারি ১৪৪ ধারা

ভারত বনধের জেরে নয়ডায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে গৌতম বুদ্ধনগর পুলিশ। সবরকম জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যাঁরা দিল্লি যাচ্ছেন বা রাজধানী থেকে ফিরছেন, তাঁদের আগেভাগেই সতর্ক করে দিয়েছে পুলিশ। কারণ রাস্তা আটকে বিক্ষোভের আশঙ্কা আছে। সেই পরিস্থিতিতে যতটা সম্ভব আমজনতাকে মেট্রোয় চেপে যাতায়াত করার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। 

কেন্দ্র ও কৃষকদের বৈঠক

তারইমধ্যে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভরত কৃষকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের যে বৈঠক ছিল, তা শেষ হতে মধ্যরাত পেরিয়ে যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে সেই বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, নিত্যানন্দ রাই, অর্জুন মুন্ডারা। চণ্ডীগড়ে পৌঁছে তাঁরা কিষান মজদুর মোর্চা, ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের (একতা সিধুপুর) মতো কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।

পাঁচ ঘণ্টার বৈঠকের শেষে কিষান মজদুর মোর্চার সমন্বয়কারী সারওয়ান সিং পান্ধের বলেন, ‘আমরা বলেছি যে আমরা পাকিস্তানের লোক নই। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যার সমাধান চাই। আমরা সংঘাতে জড়াতে চাই না।’ অন্যদিকে ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের (একতা সিধুপুর) সভাপতি জগজিৎ সিং ডালেওয়াল জানিয়েছেন, কৃষকরা যে দাবি তুলেছেন, তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনার প্রয়োজন আছে বলে স্বীকার করেছে কেন্দ্র।

কেন ‘দিল্লি চলো’-র ডাক দেওয়া হয়েছে?

আইনের মাধ্যম সব শস্যের ন্যূূনতম সহায়ক মূল্য, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আরও জোরদার করা, সব কর্মীদের পেনশন-সহ একগুচ্ছ দাবি তুলেছেন কৃষকরা। দাবি পূরণের জন্য ‘দিল্লি চলো’-র ডাক দেওয়া হয়েছে। পঞ্জাব, হরিয়ানার মতো রাজ্য থেকে মিছিল শুরু করেন কৃষকরা। কিন্তু দিল্লিতে ঢোকার আগেই তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে।