সরস্বতী পুজোয় কলেজে ঢুকে ছাত্রীদের কটূক্তি, TMCP নেতা নাজিমুলকে মারধর করল TMCPই

সরস্বতী পুজোর দিনও তৃণমূলের পিছু ছাড়ল না গোষ্ঠীকোন্দল। কলেজে ঠাকুর দেখতে এসে তৃণমূলেরই একাংশের মারে আহত হলেন তৃণমূলের ছাত্র নেতা। ভাঙচুর হল গাড়ি। বুধবার এই ঘটনায় নৈহাটির ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র কলেজে সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূলের অপর গোষ্ঠীর দাবি আক্রান্ত নাজিমুল ইসলাম সরস্বতী ঠাকুর দেখার নামে কলেজে ঢুকে ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করছিলেন। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রাছাত্রীরাই তাঁকে বাটাম দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: গায়ের রং আর শারীরিক গঠন দেখে আদিবাসী মহিলাদের চিনতে পারি, TMCর নারায়ণ গোস্বামী

ঋষি বঙ্কিম চন্দ্র কলেজের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন নাজিমুল। বুধবার সরস্বতী পুজোর দুপুরে নিজের কলেজে ঠাকুর দেখতে আসেন তিনি। নাজিমুল কলেজে ঢোকার কিছুক্ষণের মধ্যেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে কলেজের বাইরে থাকা নিজের গাড়িতে উঠে পড়েন নাজিমুল। তাঁর পিছন পিছন ছুটে আসে একদল ছাত্র। নাজিমুলকে গাড়ি থেকে টেনে নামায় তারা। তাঁকে বেধড়ক মারধর শুরু করে ওই ছাত্ররা। কোনও ক্রমে নাজিমুল ফের গাড়িতে উঠে পড়লে গাড়ির দরজা খুলে তাঁকে লাথি – ঘুসি মারা হয়। থান ইট ছুড়ে ভাঙা হয় গাড়ির সামনের ও পিছনের কাচ। কোনও ক্রমে এলাকা ছাড়েন ওই তৃণমূল নেতা।

এর পর সংবাদমাধ্যমের সামনে নাজিমুল দাবি করেন, তৃণমূলেরই একটি গোষ্ঠী আমার ওপর হামলা চালিয়েছে। আমি কলেজে ঢুকতেই তারা আমাকে তাড়া করে। ওদের ফোন করে আমার ওপর হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পার্থ সাহা ও বারাকপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মৌমিতা দে। কেন আমার ওপর হামলা হল বলতে পারব না।

আরও পড়ুন: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় দুটি ক্যামেরার নজরদারি, বাড়তি জোর প্রশ্নপত্র সুরক্ষায়

পালটা RBC কলেজের TMCP ইউনিটের দাবি, নাজিমুল ইসলাম যখন কলেজে ঢোকেন তখন সরস্বতী মণ্ডপের সামনে কলেজের ছাত্রছাত্রীরা নাচছিলেন। নাজিমুল তার মধ্যে ঢুকে কয়েকজন ছাত্রীকে কটূক্তি করেন। এতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এই ঘটনায় ২ পক্ষ পরস্পরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।