Mallikarjun Kharge: আর কত দল ভাঙাবেন? মোদীকে প্রশ্ন খাড়গের, জবাব কী এসেছিল?

কংগ্রেসে ভাঙন অব্যাহত। বিজেপির বিরুদ্ধে ভয় দেখিয়ে কংগ্রেসে ভাঙন ধরানোর অভিযোগ।

কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে শুক্রবার জানিয়েছিলেন তিনি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এনিয়ে কথা বলেছিলেন। বিরোধীদের ঘর ভাঙানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। এই অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। মূলত ভয় পেয়ে বিজেপি এসব করছে বলে কংগ্রেসের দাবি। এদিকে সম্প্রতি প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী অশোক চৌহান বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। খাড়গের দাবি এসব হল ভীরুতার লক্ষণ। লোনাভালাতে কংগ্রেসের দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের উদ্বোধন করে একথা তিনি জানিয়েছেন।

খাড়গে জানিয়েছেন, সম্প্রতি একটা চা চক্রে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেছিলাম আর কত নেতাকে আপনারা ভাঙাবেন? কত মন্ত্রী ও প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী আপনাদের দলে নিয়ে আসবেন? তাদের ক্ষিধে নিয়েও প্রশ্ন করেন কংগ্রেস সভাপতি।

কংগ্রেস সভাপতির দাবি, তিনি( প্রধানমন্ত্রী) জানিয়েছিলেন যদি মানুষ বিজেপিতে যোগ দিতে চান তবে তাঁর কি করার আছে! আমি তাঁকে বলেছিলাম আপনারা তো মানুষকে ভয় পাইয়ে দিয়ে এসব করতে চাইছেন। তিনি জানিয়েছিলেন সরকারের কাজে উৎসাহিত হয়ে তারা বিজেপিতে যোগ করতে চাইছেন।

এদিকে দলবদলুদের নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেন খাড়গে। তিনি বলেন, দল ওদের বড় নেতা তৈরি করে। আর ওরা চলে যান। এটা কিছুই নয়, আসলে এটা ভীরুতার লক্ষণ।

খাড়গে দলীয় কর্মীদের জানিয়েছেন, আমরা ভয় পাই না। আমরা ভয় পেলে শেষ হয়ে যাব। যদি আমরা লড়াই চালাই তাহলে আমরা টিকে থাকব। একদিন আমাদের জয় হবেই। আমরা নিশ্চিত আপনারা সকলেই সেই জয়ের জন্য তৈরি। 

খাড়গে জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধী ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন কৃষিজ ফসলের সহায়ক মূল্য যাতে কৃষকরা পান তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের দল ক্ষমতায় এলেই এনিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সাধারণ মানুষ এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বলে জানিয়েছেন খাড়গে। 

এদিকে শুক্রবার কংগ্রেসকে একহাত নিয়েছিলেন মোদী।  স্বজনপোষণ এবং পরিবারবাদের ‘দুষ্টচক্রের’ মধ্যে আটকা পড়ে গিয়েছে কংগ্রেস। আর সে কারণেই তাদের ছেড়ে সবাই চলে যাচ্ছে। শুক্রবার কংগ্রেসকে নিশানা করে মোদী বলেন, তাদের একমাত্র এজেন্ডাই হল প্রধানমন্ত্রীর বিরোধিতা করা।

অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসের একটাই এজেন্ডা রয়েছে, মোদী বিরোধী। তারা মোদীর বিরুদ্ধে এমন কথা ছড়ায় যা সমাজকে বিভক্ত করে। কোনও দল যখন স্বজনপোষণ ও পরিবারবাদের রাজনীতির দুষ্টচক্রের মধ্যে আটকা পড়ে তখন এমনটাই ঘটে। আজ সবাই কংগ্রেস ছেড়ে চলে যাচ্ছে, কারণ সেখানে কেবল একটি পরিবারকে দেখা যাচ্ছে।’