Sandeshkhali Child Abuse: ছুড়ে ফেলা হয়নি, পড়ে গিয়েছে, ৭ দিন পর সন্দেশখালি গিয়ে বলল রাজ্য শিশু কমিশন

সন্দেশখালিতে পুলিশ ও তৃণমূলি গুন্ডাবাহিনীর বিরুদ্ধে মায়ের কোল থেকে ৬ মাসের শিশুকন্যাকে ছুড়ে ফেলার অভিযোগে ১ সপ্তাহ পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে নতুন তত্ত্ব খাড়া করল রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন। ওই ঘটনায় শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসকের কাছে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট পৌঁছতেই শনিবার সকালে পড়ি মরি করে সন্দেশখালি ছোটে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন। সেখানে আক্রান্ত শিশুটির মায়ের সঙ্গে কথা বলার পর কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাসের দাবি, ‘টানাটানিতে শিশুটি কোল থেকে পড়ে গেছে।’

আরও পড়ুন: গ্রেফতারের সাড়ে ৩ মাস পর জোড়া দফতর হারালেন বালু, কার হাতে গেল দায়িত্ব

এদিন শিশুর মায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তুলিকাদেবী বলেন, ‘ওনার কাছ থেকে যেটা শুনেছি। ওনাকে টানাটানি হয়েছিল জানলা থেকে। সেজন্য বাচ্চাটা পড়ে যাচ্ছিল। ওনার স্বামী এক হাত দিয়ে বাচ্চাকে ধরে নিয়েছেন’।

কমিশনের প্রতিনিধিরা চলে যাওয়ার পরে শিশুটির মা সংবাদমাধ্যমকে স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘মেয়ে কোল থেকে পড়ে গেছে একথা কখনও কমিশনকে বলেননি তিনি। তিনি বলেছেন, মেয়েকে কোল থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। মেয়ে মাটিতে পড়তেই তার বাবা তাকে তুলে নেয়।’

আরও পড়ুন: দু’‌দিনের বীরভূম সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, দেউচা–পাঁচামিতে জমিদাতাদের দেবেন নিয়োগপত্র

গত ৯ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে ভয়াবহ পুলিশি সন্ত্রাসের সাক্ষী হয় সন্দেশখালির শীতলিয়া গ্রাম। পুলিশের উর্দিধারী কয়েকজন যুবক ও তাদের সঙ্গে প্রায় ২ ডজন তৃণমূলি দুষ্কৃতী ভোর রাতে বিজেপি কর্মী ভূজঙ্গ দাসের বাড়িতে হামলা চালায়। ভূজঙ্গবাবুকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে বলে। তিনি বেরোতে না চাইলে বাড়ির কাচের জানলা ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা। তাঁকে জোর করে বাড়ি থেকে বার করার চেষ্টা শুরু করে তারা। ভূজঙ্গ দাসের স্ত্রী দুষ্কৃতীদের বাধা দিলে তাঁর কোল থেকে ৬ মাসের শিশুকন্যাকে ছিনিয়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলে তৃণমূলি দুষ্কৃতীরা। 

পরদিনই হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাসহ একাধিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনামে উঠে আসে সেই ঘটনা। ১ সপ্তাহ পর সেই ঘটনায় শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসকের কাছে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। শিশুটির চিকিৎসা ও নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা হয়েছে জানতে চেয়েছে তারা। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে বলে জানিয়েছে তারা।

এদিনের সফরের পর রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন জানিয়েছেন। শিশু ও তার মায়ের খাবার ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিশুটির বাড়ির সামনে ১ জন পুরুষ ও ১ জন মহিলা পুলিশকর্মী নিয়োগ করতে বলা হয়েছে।