Sandeshkhali Child Abuse: শিশুকে ছুড়ে ফেলার ঘটনায় NCPCRএর চিঠি, পড়ি মরি করে সন্দেশখালি ছুটল রাজ্যের দল

জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট তলব করতেই সন্দেশখালিতে মায়ের কোল থেকে ছিনিয়ে ৬ মাসের শিশুকন্যাকে ছুড়ে ফেলার ঘটনায় পড়ি মরি করে ছুটল রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন। এদিন সন্দেশখালির খুলনা গ্রাম পঞ্চায়েতের শীতলিয়া গ্রামে বিজেপি কর্মী ভূজঙ্গ দাসের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা। এর পর পরিবারের নিরাপত্তার আশ্বাস দেন তাঁরা। জানান, শিশু ও তার মায়ের খাবারের ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনকে।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে ভয়াবহ পুলিশি সন্ত্রাসের সাক্ষী হয় সন্দেশখালির শীতলিয়া গ্রাম। পুলিশের উর্দিধারী কয়েকজন যুবক ও তাদের সঙ্গে প্রায় ২ ডজন তৃণমূলি দুষ্কৃতী ভোর রাতে বিজেপি কর্মী ভূজঙ্গ দাসের বাড়িতে হামলা চালায়। ভূজঙ্গবাবুকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে বলে। তিনি বেরোতে না চাইলে বাড়ির কাচের জানলা ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা। তাঁকে জোর করে বাড়ি থেকে বার করার চেষ্টা শুরু করে তারা। ভূজঙ্গ দাসের স্ত্রী দুষ্কৃতীদের বাধা দিলে তাঁর কোল থেকে ৬ মাসের শিশুকন্যাকে ছিনিয়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলে তৃণমূলি দুষ্কৃতীরা। পরদিনই হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাসহ একাধিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনামে উঠে আসে সেই ঘটনা। প্রায় ১ সপ্তাহ পর সেই ঘটনায় শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসকের কাছে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। শিশুটির চিকিৎসা ও নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা হয়েছে জানতে চেয়েছে তারা। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে বলে জানিয়েছে তারা।

শুক্রবার জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চিঠি এসে পৌঁছতেই শনিবার সন্দেশখালি ছোটে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিদল। দাবি করে, স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই সন্দেশখালিতে এসেছেন তাঁরা। শীতলিয়া গ্রামে গিয়ে আক্রান্ত শিশুটির মায়ের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। এর পর জানান, শিশুটির মা জানিয়েছেন, বাড়িতে কোনও পুরুষ নেই। নিরাপত্তাহীনতায় তিনি বাড়ি থেকে বেরোতে পারছেন না। তাই শিশু ও তাঁর জন্য কিছু খাবারের ব্যবস্থা করলে ভালো হয়। এছাড়া নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়েছেন তিনি। তাই শিশু ও মায়ের খাবারের ব্যবস্থা করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে পরিবারের নিরাপত্তায় বাড়ির সামনে পুলিশকর্মী মোতায়েন করতে বলা হয়েছে। তবে উর্দিধারী ও তৃণমূলের যে সব কর্মীরা এই জঘন্য কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা হবে সেব্যাপারে মুখ খোলেনি রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন।

রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর শিশুর মায়ের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি।