Sandeshkhali Child Abuse: সন্দেশখালিতে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন, HT বাংলার ৫টা প্রশ্ন

সন্দেশখালিতে শিশুকে মায়েক কোল থেকে ছুড়ে ফেলার অভিযোগে এক সপ্তাহ পর ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন। শুক্রবার জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন চিঠি দিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসকের কাছে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চাওয়ার পর শনিবার সকালে পড়ি মরি করে সন্দেশখালি ছুটেছেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সনের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের দল। কিন্তু, রাজ্য কমিশনের এই সফরকে কেন্দ্র করে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। তাদের অভিষন্ধি নিয়েও সন্দিহান আক্রান্ত শিশুটির পরিবারের সদস্যরা।

আরও পড়ুন: গ্রেফতারের সাড়ে ৩ মাস পর জোড়া দফতর হারালেন বালু, কার হাতে গেল দায়িত্ব

১. প্রশ্ন উঠছে, কেন ওই ঘটনার পর সন্দেশখালি পৌঁছতে ৭ দিন সময় লাগল রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের। গত ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ভোর সাড়ে তিনটের ওই ঘটনায় কেন তৎপরতা দেখাতে এত সময় নিল কমিশন। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, বিষয়টি গোচরে আসতেই তৎপরতা দেখিয়েছেন তাঁরা। তবে কি জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট তলব করতেই মুখরক্ষায় সন্দেশখালি পৌঁছেছে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন?

২. গত ১২ ফেব্রুয়ারি উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় বিএসএফএর একটি প্রকল্পের কাজ চলার সময় মাটি চাপা পড়ে ৪টি শিশুর মৃত্যু হয়। সেখানে ১৪ ফেব্রুয়ারি পৌঁছে যায় রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন। কলকাতা থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে চোপড়ায় পৌঁছতে যে কমিশনের ২ দিন লাগে তাদের কলকাতা থেকে ১০০ কিমি দূরে সন্দেশখালি পৌঁছতে ৮ দিন লাগল কেন? আক্রান্ত শিশুর বাবা বিজেপি কর্মী বলেই কি এই গাফিলতি? শেষে জাতীয় কমিশনের চিঠিতে সেখানে যেতে বাধ্য হলেন তাঁরা?

৩. শিশুর মা যখন সংবাদমাধ্যমের সামনে বার বার বলেছেন, শিশুটিকে তাঁর কোল থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে তখন ‘শিশুটি হাত ফসকে পড়ে গিয়েছে’ এই তত্ত্ব তারা খাড়া করলে কার বয়ানের ভিত্তিতে? না কি আগে থেকেই বয়ান সাজিয়ে এসেছিলেন তারা?

৪. শিশুটির ওপর যখন হামলা হয়েছিল তখন তৃণমূলি দুষ্কৃতীদের সঙ্গে সেখানে সন্দেশখালি থানার বড়বাবু ও হিঙ্গলগঞ্জ থানার মেজোবাবু হাজির ছিলেন বলে জানিয়েছেন আক্রান্ত শিশুর মা। প্রশ্ন উঠছে এই ২ পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করার সুপারিশ করেছে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন?

আরও পড়ুন: দু’‌দিনের বীরভূম সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, দেউচা–পাঁচামিতে জমিদাতাদের দেবেন নিয়োগপত্র

৫. কমিশনের তরফে শিশু ও তার পরিবারের নিরাপত্তায় পুলিশকর্মী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের নির্দেশ না দিয়ে নিরাপত্তার জন্য বাড়ির সামনে পুলিশ মোতায়েন কি কোনও দীর্ঘমেয়াদী সমাধান হতে পারে? আর যে পুলিশের আধিকারিকদের বিরুদ্ধেই হামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগ, সেই পুলিশের ওপর পরিবার আস্থা রাখবে কী ভাবে? না কি পরিবারটির ওপর পুলিশি নজরদারির ব্যবস্থা করে রেখে গেল রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন?