School Admission Fee: প্রাথমিকেই বছরে স্কুল ফিজ চার লাখ টাকা, দেশের কোন শহরে এই হাল?

সন্তানকে ভালো স্কুলে ভরতি করাতে গেলেই দিতে হচ্ছে ৪ লক্ষ টাকা। তাও আবার এলকেজি ক্লাসে ভরতি করানোর জন্য নেওয়া হচ্ছে এই বড় অংকের টাকা। হায়দরাবাদ স্কুলের ঘটেছে এই কাণ্ড। সম্প্রতি, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে এক অভিভাবক এই বিষয়টি সামনে এনেছেন। ওই অভিভাবক জানিয়েছেন যে, হায়দরাবাদের একটি স্কুল চার বছর বয়সী শিশুকে নার্সারি থেকে এলকেজিতে তোলার জন্য ফি  ৬৫ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে।

জানা গিয়েছে, হায়দরাবাদের বাচুপালির একটি বিশিষ্ট স্কুলই শিশুদের স্কুলে ভরতির ক্ষেত্রে অত্যধিক চার্জ নিচ্ছে। ২০২৩ সালে ওই স্কুলের ফি ২ লক্ষ ৩০,০০০ টাকা ছিল। কিন্তু ২০২৪ সাল পড়তে না পড়তেই স্কুল কর্তৃপক্ষ ২.৩ লক্ষ থেকে ৩.৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ফি বাড়িয়েছে, যা রীতিমত উদ্বেগজনক। অভিভাবকদের মতে, স্কুল প্রশাসন এই বৃদ্ধিকে ন্যায্যতা দিয়েছে। তাঁদের দাবি, ‘আমরা আশা করি যে সে গ্রেড ১ এ না পৌঁছোনো পর্যন্ত ফি কাঠামো তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল থাকবে।’

অভিভাবকরা আরও উল্লেখ করেছেন যে তাঁদের বড় ছেলে, বর্তমানে একই স্কুলে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে। তার ফি বাবদ দিতে হয় ৩.২ লক্ষ টাকা। আর এই টাকার পরিমাণ এলকেজির পড়ুয়াদের খরচের থেকে মাত্র ৫০,০০০ টাকা কম। তাই অভিভাবকরা আরও জানিয়েছেন, ‘আর্থিকভাবে, এটি আমাদের জন্য বড় বোঝা। তাই আমরা এখন বাচ্চাদের স্কুল পরিবর্তন করার কথা ভাবছি।’ যদিও এই শিক্ষাবর্ষে বেশিরভাগ স্কুলের গড় বার্ষিক ফি প্রায় ১০ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে, শিক্ষার সামগ্রিক খরচ আবারও বেড়েছে।

সিবিএসই স্কুলের পরিকাঠমো, শিক্ষা ব্যবস্থার কারণে মূলত এর বেতনও অনেকটাই বেশি হয়। কিন্তু অভিভাবকরা তেমনটা মনে করছেন না। তাঁদের দাবি, এই ফি নেওয়া প্রায়ই অযৌক্তিক। একজন বলেছেন, ‘এই বছর আমার ছেলেকে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনেকগুলো স্কুল দেখেছি, আমি কুকাটপল্লীতে ৭ থেকে ১০টি স্কুল পরিদর্শন করেছি। বেশিরভাগ স্কুলগুলির ফি ছিল প্রায় ৪ লক্ষ। তার মধ্যে একটি স্কুল ছিল যেটি সর্বনিম্ন ১ লক্ষ ফি দাবি করেছে।’ আর এই ফি স্ট্রাকচারের দিকে তাকিয়েই ওই অভিভাবক জানিয়েছেন, পরিকাঠামো, শিক্ষক এবং পাঠ্যক্রমিক ক্রিয়াকলাপগুলির পার্থক্যের কারণে এই টাকার এত তফাৎ।কিন্তু তাঁর মনে হয়, এত টাকা অনুযায়ী পরিষেবার দিকে ফোকাস না করে জুনিয়র ক্লাসের পরিকাঠমোর দিকে প্রাথমিক ফোকাস হওয়া উচিত এবং এর খরচ এক লাখের বেশি হওয়া উচিত নয়।

প্রসঙ্গত, বহু রাজ্যেই এখন এরকম লাগামছাড়া মাইনে বাড়ানোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে-মেয়েরা কি আদৌ ভালো পড়াশোনা করার সুযোগই পাবে না, এই প্রশ্নও উঠে যাচ্ছে।