ধারে ডুবে গিয়েছিলেন স্ত্রী, তিন সন্তানকে জীবন্ত জ্বালিয়ে গায়ে আগুন দিলেন স্বামী

অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা বিহারে। এক ব্য়ক্তি একেবারে ধারে ডুবে গিয়েছিলেন। সেই জ্বালা তিনি কিছুতেই সহ্য করতে পারছিলেন। এরপরই তিনি চরম সিদ্ধান্ত নেন। তিনি প্রথমে তার সন্তানদের জীবন্ত জ্বালিয়ে দেন। এরপর নিজের শরীরেও আগুন জ্বালিয়ে দেন তিনি। বিহারের ভারি গ্রামের কারওয়া থানা এলাকার ঘটনা। ওই ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। 

ওই ব্যক্তির তিন সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। তাদের বয়স ৯-১২এর মধ্য়ে। সূত্রের খবর, মৃতদের নাম রিঙ্কি কুমারী(৯) বছর, রাজা কুমার( ১২ বছর) ও শুভঙ্কর কুমার( ১৩ বছর) বয়স। তাদের বাবার নাম দীনেশ সিং। তিনি পাঞ্জাবে শ্রমিকের কাজ করেন। পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন তিনি। 

সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তি সপ্তাহখানেক আগে পাঞ্জাব থেকে ফিরে আসেন। দীনেশের আরও দুই কন্যা পালিয়ে বিয়ে করে অন্যত্র থাকেন। দীনেশের স্ত্রী দিন তিনেক আগে জিনিসপত্র সব কিছু নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তারপর থেকে আরও মনমরা হয়ে থাকতেন দীনেশ। 

আসলে যাবতীয় ধার করেছিলেন দীনেশের স্ত্রী। গ্রুপ লোন হিসাবে তিনি বিরাট টাকার লোন নিয়েছিলেন।  কিন্তু কিছুতেই সেই ধার শোধ করা যাচ্ছিল না। এনিয়ে বাড়িতে অশান্তি হত। এদিকে দীনেশের স্ত্রী কোথায় পালিয়ে গেল তার খোঁজ করছে পুলিশ। ফরেনসিক টিমও ঘটনাস্থলে এসেছিল। সূত্রের খবর, দুই ছেলের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। পরে মেয়েটির মৃত্যু হয়। তার চিকিৎসা চলছিল হাসপাতালে। সেই সময়ই মৃত্যু হয় তার। কিন্তু কেন তিনি এভাবে সন্তানদের খুন করে নিজে আত্মহত্যা করতে গেলেন তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। 

এদিকে ভিলাইতে আবার এক মহিলা আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর। ভূপেন্দ্র সাহু নামে এক শ্রমিকের স্ত্রী হলেন রচনা সাহু। ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার দেহ মিলেছে। পরে পুলিশের কাছে খবর যায়। পুলিশ রচনার দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্য়েই ওই মহিলার স্বামীকে জেরা করেছে। জেরায় ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, ৬ বছর হল তাদের বিয়ে হয়েছে। তাদের ৫ বছর বয়সি একটি মেয়েও রয়েছে। শুক্রবার বিকালে ওই ব্যক্তি রচনার কাছ থেকে স্মার্টফোনটি নিয়ে নিয়েছিলেন। সেই সময় বাড়িতে স্ত্রী ছাড়াও ভূপেন্দ্রর মা, বৌদি ও বাচ্চারা ছিল। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ভূপেন্দ্রর কাছে ফোন যায় যে তার স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এরপরই তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। শাড়ি গলায় পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন বলে অভিযোগ।

ভূপেন্দ্র পুলিশকে জানিয়েছে যে রচনা রাতদিন ফোনে ব্যস্ত থাকত। বললেও শুনত না। বাচ্চার যত্ন নিত না। রাতদিন ফোন আর ফোন। ঘরের কাজকর্মও কিছু করত না। মানে একেবারে ফোন ছাড়া কিছু বুঝত না রচনা। এনিয়ে বাড়িতে অশান্তিও হত। কিন্তু তবুও ফোনের নেশা থেকে বের হতে পারত না।