ED Probe on Paytm: সত্যি কি অর্থ পাচারে যুক্ত পেটিএম? যা জানা গেল ইডি তদন্ত থেকে…

পেটিএম-এর বিরুদ্ধে ইডি তদন্ত নিয়ে ধোঁয়াশা বজায় ছিল বিগত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই। আরবিআই নিষেধাজ্ঞার পরে একবার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, অনলাইন লেনদেন সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে ইডি। তবে সেই দাবি খারিজ করে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে নিজেদের বক্তব্য ফাইল করেছিল পেটিএম। তবে পরে জানা যায়, সত্যি সত্যি অর্থ তছরুপের অভিযোগের ভিত্তিতে পেটিএম-এর বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে ইডি। একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়, পেটিএম-এর উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেছে ইডি। এরই মাঝে একাধিক রিপোর্টে এবার দাবি করা হল, ইডির তদন্তে প্রাথমিক ভাবে কোনও অর্থ পাচারের প্রমাণ পাওয়া যায়নি পেটিএম-এর বিরুদ্ধে। (আরও পড়ুন: বদলেছে নিষেধাজ্ঞার দিনক্ষণ, পেটিএম ফাস্ট্যাগ কি তবে জারি থাকবে? জানাল RBI)

আরও পড়ুন: ‘বন্ধ হবে না দোকানে দোকানে লেনদেন’, পেটিএম-এর নয়া ‘বন্ধু’ হল অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক

জানা গিয়েছে, পেমেন্টস ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে আরবিআই-এর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করার পরই সেই সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতে নথি চেয়ে পাঠায় ইডি। তদন্তকারীরা ওয়ান৯৭ কমিউনিকেশনসের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। পেটিএম আধিকারিকদের থেকে নথি জমা নিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদও করেন ইডির তদন্তকারীরা। তবে কাউকেই আটক করা হয়নি। এই আবহে হিন্দুর রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ইডি তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, অর্থ পাচার সংক্রান্ত কোনও অপরাধ পিপিবিএল-এর ক্ষেত্রে ঘটেনি। তাই অর্থ তছরুপের তদন্ত পেটিএম-এর বিরুদ্ধে করা যাবে না।

উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে ক্রমাগত ‘লোয়ার সার্কিটে’ আছড়ে পড়ে পেটিএম-এর শেয়ার দর। তবে শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, সপ্তাহের শেষ লেনদেনের সেশনে ঊর্ধ্বমুখী ছিল পেটিএম-এর শেয়ারের রেট। আরবিআই-এর তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছিল, ২৯ ফেব্রুয়ারির পর থেকে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট, ওয়ালেট এবং ফাস্ট্যাগ দিয়ে অনলাইনে কোনও টাকা দেওয়া যাবে না। তবে সম্প্রতি সেই নিষেধাজ্ঞার দিনক্ষণ বদল করে ১৫ মার্চ করা হয়েছে।

একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, একই প্যানকার্ডের সঙ্গে ১,০০০-এর বেশি গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত থাকা, লাগাতার গুরুত্বপূর্ণ নিয়মের লঙ্ঘন, ভুয়ো রিপোর্ট দাখিল, লাইসেন্সিং শর্তের চূড়ান্ত লঙ্ঘনের মতো কারণে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের উপর শাস্তির খাঁড়া নেমে এসেছে। এদিকে তাদের বিরুদ্ধে ইডি তদন্তের দাবি উড়িয়ে দিয়ে পেটিএম দাবি করেছে, অর্থ পাচারের মতো কার্যকলাপের সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত না সংস্থা বা কোম্পানির কোনও আধিকারিক।

এর আগে ইডির তদন্তের বিষয়টি অস্বীকার করে পেটিএম দাবি করেছিল, পেটিএম-এর সঙ্গে যুক্ত কিছু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এই ধরনের তদন্ত হয়েছিল। তবে পেটিএম বা সংস্থার কোনও উচ্চপদস্থ কর্তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হচ্ছে না। এর আগেও পেটিএম-এর সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যখন তদন্ত হয়েছিল, তখন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা তদন্তে সহযোগিতা করেছিলেন। পাশাপাশি পেটিএম-এর তরফে দাবি করা হয়, অর্থ পাচারের মতো কার্যকলাপের সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত না সংস্থা। ভারতের আইন মেনেই সংস্থা কাজ করে এসেছে।