Kunal Ghosh on Sandeshkhali: সন্দেশখালির তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের ধারা যুক্ত, এরই মাঝে ‘অদ্ভূত যুক্তি’ কুণালের

সন্দেশখালি কাণ্ডে অবশেষে দুই তৃণমূল নেতা উত্তম সরদার ও শিবু হাজরার বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করে পুলিশ। এরপরই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি তৃণমূল কংগ্রেস এতদিন ধরে যে ‘দাবি’ করে এসেছিল, তা ভুল? অর্থাৎ, শিবু ও উত্তম কি সত্যি সেখানে ‘কুকর্ম’ করেছে? কারণ, এর আগে তৃণমূলের দাবি ছিল, বিরোধীরা ‘চক্রান্ত’ করছে সন্দেশখালিতে। এই সবের মাঝেই গণধর্ষণের মামলা রুজু হওয়া নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘গণধর্ষণের ধারা মানে তৃণমূলের দাবি খারিজ করা নয়।’ অর্থাৎ, উত্তম এবং শিবু যে গণধর্ষণের সঙ্গে যুক্ত, তা এখনও মানতে বারাজ শাসকদল। (আরও পড়ুন: হাওড়া ডিভিশনের একাধিক লোকাল ট্রেন বাতিল, চরম ভোগান্তি পোহাতে হতে পারে যাত্রীদের)

আরও পড়ুন: সুদূর ইউরোপের মাটিতে সাক্ষাৎ হাসিনা-জয়শংকরের, কী কথা হল দু’জনের?

একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে কুণাল ঘোষ সন্দেশখালি কাণ্ডে গণধর্ষণের ধারা যোগ হওয়া নিয়ে বলেন, ‘গণধর্ষণের ধারা মানে তৃণমূলের দাবি খারিজ করা নয়। বারবার বলা হয়েছে, তাই যোগ করেছে। এরপর সেই অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে। আর যদি কোনও মহিলা এর আগে ভয়ে মুখ না খুলে থাকেন এবং এই ঘটনা সত্যিই ঘটে থাকে, তাহলে এতদিন সিপিএম, বিজেপির স্থানীয় নেতারা কেন এই নিয়ে কিছু বলেননি? বিরোধী সমর্থকদের অভিযোগ আদৌ সত্যি কি না, দেখা দরকার।’

উল্লেখ্য, এক মহিলার জবানবন্দির ভিত্তিতে শনিবার বসিরহাট আদালতে গণধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার মামলা করা হয় উত্তম সরদার ও শিবু হাজরার বিরুদ্ধে। এদিকে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে গুরুতর ধারা যুক্ত হতেই বদলি করা হয় বারাসত রেঞ্জের ডিআইজি সুমিত কুমারকে। এই আবহে প্রশ্ন উঠছে, শাসকদলের নেতার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করার জেরেই কি সরকারের রোষে পড়লেন এই পুলিশ আধিকারিক। যদিও নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, এটি রুটিন বদলি। এদিকে জানা গিয়েছে, ডিআইজি নিরাপত্তা নামে নতুন একটি পদ তৈরি করে সেখানে পাঠানো হয়েছে সুমিত কুমারকে।

এদিকে পুলিশের ডিআইজি রাজীব কুমার জানান, পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় অভিযোগ দায়ের না করে সরাসরি আদালতে গিয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন সন্দেশখালির ধর্ষিতা। রাজীব কুমার বলেন, ‘যে ভদ্রমহিলা অভিযোগ করেছেন, তাঁর সঙ্গে আমরা কথা বলেছিলাম। কিন্তু তখন তিনি কোনও রকম ধর্ষণের অভিযোগ করেননি। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি যে, ১৬৪ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে গোপন জবানবন্দিতে তিনি এই সব কথা বলেছেন। আমরা সেটা মামলায় সংযুক্ত করেছি। যাতে সমস্ত অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা যায় সেই বিষয়টি দেখা হবে।’