Mamata Banerjee: ‘যদি কেউ বলেন ধর্মনিরপেক্ষতা খুব খারাপ তবে…’ বড় কথা জানালেন মমতা

টেলিগ্রাফ ন্য়াশানাল ডিবেট। তারই একটি ভিডিয়ো ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেই বিতর্কসভার উল্লেখ করা হয়েছিল, এই হাউজ বিশ্বাস করে যে ভারতের নতুন সংবিধানের দরকার নেই। সেই বিতর্কসভায় বক্তব্য রেখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেখানেই তিনি নানা প্রসঙ্গ তুলে আনেন। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে পুরো গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, যদি কেউ বলেন যে ধর্মনিরপেক্ষতা বাজে, সমতার কথা ভাবাই যায় না, গণতন্ত্র খুব খারাপ, ভয়াবহ , যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা একটা বিপর্যয় তবে এটা আমি কিছুতেই মানতে পারব না। 

মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, যদি কেউ বলেন যে সংবিধানকে বদল করতে হবে তবে সেটা কোনও আদর্শকে সন্তুষ্ট করার জন্য। মমতা বলেন, সংবিধানের মূল সূত্রটি রয়েছে তার প্রস্তাবনায়। 

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, গণতন্ত্র, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো, ধর্মনিরপেক্ষতাকে মাথায় রেখে তৈরি হয়েছিল সংবিধান। মৌলিক অধিকার আর দেশের সার্বভৌমত্বের মধ্য়ে একটি সুন্দর ভারসাম্য় রক্ষা করে এই সংবিধান। 

তবে মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, এই সংবিধান যদি কেবলমাত্র এজেন্সির দ্বারা, এজেন্সির জন্য আর এজেন্সির মাধ্য়মে হয় তবে এটাকে মানতে পারব না। সংবিধান হল মানুষের জন্য, মানুষের দ্বারা, মানুষের জন্য। তিনি বলেন, আমাদের কথা বলার কোনও অধিকার নেই। যদি আমি জোর দিয়ে বলি তবে ইডি আমার বাড়িতেও চলে আসবে। 

কিছুটা রসিকতা করে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম না করে বলেন, রাজীব গান্ধী সহ একাধিক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করেছি। কিন্তু এমন সুইট, কিউট প্রধানমন্ত্রী আগে কোনও দিন দেখিনি। তাঁর মতে, তৃণমূল রাজনৈতিক সৌজন্যে বিশ্বাস করে। তাঁর দল সমস্ত রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক নেতাদের শ্রদ্ধা করে। 

বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের এই যে সংস্কৃতি, ভাষা, ধর্মে, সম্প্রদায়ের এত বৈচিত্র তার মধ্য়ে দেশকে এক সূত্রে বেঁধে রাখার কাজ করে সংবিধান। 

দেশের প্রয়োজনেই সংবিধানকে বদল করা হয়েছে বলে জানান মুখ্য়মন্ত্রী। তিনি বলেন, কিন্তু আজ কী হচ্ছে! আমার আশঙ্কা হচ্ছে! একজন মানুষ হিসাবে, সাধারণ মানুষ হিসাবে আমি এটা মানতে পারি না। আমরা কী খাব, কী পরব, কী ভাষায় কথা বলব সেটা যদি কেউ ঠিক করে দেয় তবে সংবিধান আর গণতন্ত্রের কী দরকার। আমরা শান্তিতে বসবাস করতে চাই। সকলেরই এই শান্তিতে বসবাস করার অধিকার রয়েছে।