Sandeshkhali Terror: কাটমানি থেকে MNREGAর টাকা লুঠের অভিযোগ, সেই নেতার ওপরেই সন্দেশখালিতে ভরসা TMCর

সন্দেশখালিতে ড্যামেজ কন্ট্রোলে দলের স্থানীয় নেতাদের মাঠে নামিয়েছে তৃণমূল। শনিবার থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ শুনছেন তাঁরা। অভিযোগ শুনে উত্তম সরদার ও শিবু হাজরার কাছে টাকা পান এমন ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই দলকে। যে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গণেশ হালদার। আর গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এছাড়া পাট্টা দেওয়ার নামে স্থানীয়দের কাছ থেকে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা। এমনকী গণেশের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের শ্রমের টাকা লুঠের অভিযোগ করেছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: লোকসভা নির্বাচনের মুখে ফের NRC জুজু দেখানোর চেষ্টা মমতার

শনিবার থেকে সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে স্থানীয়দের অভাব অভিযোগ শুনতে দেখা যায় গণেশবাবুকে। সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দলের নির্দেশে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলছি। সবার অভাব অভিযোগ শুনছি। কেউ টাকা পেলে তার নাম তালিকাভুক্ত করছি। তিনি দাবি করেন, উত্তম সরদার ও শিবু হাজরার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। পুরোটাই দলকে জানানো হবে।

ওদিকে স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় গরিব মানুষকে পাট্টা দেওয়ার নামে হাজার হাজার টাকা তুলেছেন গণেশ হালদার। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, খাস জমিতে পাট্টা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এলাকার হতদরিদ্র প্রায় প্রতিটি পরিবারের কাছ থেকে ২ বছর আগে কাটমানি তুলেছিলেন গণেশ। প্রতিটি পরিবারের থেকে ৩০ টাকা করে নেন তিনি। কিন্তু তার পর আজ পর্যন্ত কেউ পাট্টা পাননি। এমনকী গণেশের বিরুদ্ধে বিঘার পর বিঘা খাস জমি দখলের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। তাঁরা জানিয়েছেন এলাকার ৩২ বিঘা খাস জমি দখল করে শিবু হাজরার হাতে তুলে দেন গণেশ হালদার।

স্থানীয়দের আরও দাবি, স্থানীয়দের গতরে খাটা ১০০ দিনের টাকাও লুঠ করেছেন গণেশ হালদার। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, ১০০ দিনের কাজের টাকা ঢুকলে ৭৫ থেকে ৯০ শতাংশ টাকা দিয়ে দিতে হত গণেশকে। বলত, পরে টাকা ঢুকলে বকেয়া মিটিয়ে দেবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত সে কারও বকেয়া মেটায়নি।

আরও পড়ুন: ক্লাসে ছুরি হাতে পড়ুয়া শাসন প্রধান শিক্ষকের, তুমুল বিক্ষোভ অভিভাবকদের

এহেন গণেশকে সন্দেশখালির মানুষের অভিযোগ শুনতে পাঠানোয় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। তাদের দাবি, ওকে বলে কী হবে? ওই তো এখানে শাহজাহানের এজেন্ট। ওকেই আবার তৃণমূল পাঠিয়েছে আমাদের খবর নিতে। আসলে এখানে তৃণমূলের এমন কোনও নেতা নেই যে মানুষকে অত্যাচার করেনি।

অভিযোগ অস্বীকার করে গণেশ হালদার বলেন, ‘পাট্টার জন্য কেউ টাকা নেয় না কি? ওদের কেউ ভুল বুঝিয়েছে হয়তো। ১০০ দিনের কাজ তো সুপারভাইজার দেখেেন।’ প্রশ্ন হল কাজ তো সুপারভাইজার দেখেন, কিন্তু কাজের টাকা কারও কাছে পৌঁছলে সেটা ভয় দেখিয়ে কে গরিব মানুষের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিচ্ছেন সেটা কে দেখে?