Aadhaar Deactivation ordeals: আধার নিষ্ক্রিয়তায় আঁধারে স্নাতক পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ, ‘কোন দেশে যাব?’ উঠল কাতর প্রশ্ন

আধার অনিশ্চয়তায় ভুগছে বাংলার বহু মানুষ। একদিকে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের বহু গ্রামে আধার নিষ্ক্রিয়তার চিঠি পাঠানো হচ্ছে। আবার সীমান্তবর্তী নদিয়া জেলাতেও আধার নিষ্ক্রিয়তার চিঠি পৌঁছেছে বহু বাড়িতে। রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসা বনকাটি পঞ্চায়েতের বাসিন্দা এক পড়ুয়ার আধার নিষ্ক্রিয় হয়। এই মর্মে চিঠি পান সেই পড়ুয়া। আর এর জেরে প্রথম বর্ষের পরীক্ষার ফর্মই ফিলআপ করতে পারলেন না তিনি। জানা গিয়েছে, বীরভূমের ইলামবাজারে কবি জয়দেব মহাবিদ্যালয়ের পড়ুয়া তিনি। জানা গিয়েছে, আধার কার্ডের নম্বর দিয়ে পরীক্ষার ফর্ম ফিলআপ করতে গিয়ে বুঝতে পারে তার আধার কার্ড বাতিল হয়ে গিয়েছে। (আরও পড়ুন: এবার রাজ্যে LPG সিলিন্ডারের ‘আকাল’, সময়ে গ্যাস না পেয়ে সমস্যায় গ্রাহকরা)

আরও পড়ুন: আধার নিষ্ক্রিয়তার চিঠি পেলে কী করতে হবে? কোথায় মিলতে পারে সমাধানসূত্র?

ওদিকে নদিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় বহু মানুষের আধার কার্ড বাতিল হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। টিভি ক্যামেরার সামনে অনেকেই কেঁদেও ফেলেন এই অবস্থায়। রিপোর্ট অনুযায়ী, নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের নিধিপতা, গোবিন্দপুর, টুঙ্গী, কাদিপুর সহ বিভিন্ন গ্রামে আধার নিষ্ক্রিয়তার চিঠি গিয়ে পৌঁছেছে। এর মধ্যে অনেকেই স্বীকার করেছেন যে বহুবছর আগে তাঁরা বা তাঁদের পূর্বপুরুষ বাংলাদেশ থেকেই ভারতে এসেছিলেন। তবে এতবছর ভারতে থাকার পর আধার নিষ্ক্রিয়তার চিঠি হাতে তাঁদের প্রশ্ন, তাহলে কি আবার বাংলাদেশে ফিরে যেতে হবে? বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, সবাইকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। ‘প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে’ বলে দাবি করা হয়েছে। যদিও এই গোটা বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা জারি রয়েছে এখনও।

এদিকে অন্য এক রিপোর্টে দাবি করা হল, পূর্ব বর্ধমানের অনেক গ্রামের লোকজন আধার নিষ্ক্রিয় হওয়ার নোটিশ গ্রহণ করতেই অস্বীকার করছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, আধার নিষ্ক্রিয় হওয়ার নোটিশ নিয়ে শনিবার ডাককর্মীরা গিয়েছিলে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের বেশ কিছু গ্রামে। এর আগেও জামালপুরের অনেককে আধার নিষ্ক্রিয়তার চিঠি ধরানো হয়েছিল। তবে শনিবার ডাককর্মীরা এই একই ধরনের চিঠি নিয়ে গেলে অধিকাংশ প্রাপকরা তা নিতে অস্বীকার করেন বলে জানা গিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, শনিবার জামালপুরের জৌগ্রাম পঞ্চায়েতের নুরি, তেলি, কলিপুকুর এবং আবুঝহাটি ১ পঞ্চায়েতের জুতিহাটি, কেউতাড়া, ঝাপানডাঙা গ্রামে আধার নিষ্ক্রিয়তার নোটিশ পাঠানো হয়েছিল বেশ কয়েকজনকে। তবে কয়েকজন বাদে ডাককর্মীদের থেকে সেই চিঠি হাতে নিতে চায়নি কেউই। ডাককর্মীদের দাবি, সাধারণ মানুষ মনে করছেন, আধার নিষ্ক্রিয়তার নোটিশ হাতে নিলেই নাগরিকত্ব হারাতে হতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এই আবহে তাঁদের অধিকাংশই এবার আর আধার নিষ্ক্রিয়তার এই নোটিশ গ্রহণই করতে চাইছেন না। এর আগে একাধিক ক্ষেত্রে দাবি করা হয়েছিল, আধার নিষ্ক্রিয়তার নোটিশ পাওয়ার পরে রেশন পেতে সমস্যা হচ্ছে অনেকের। ব্যাঙ্কেও সমস্যা হচ্ছে বলে দাবি করা হয়। যদিও রবিবার বীরভূমের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, আধার নিষ্ক্রিয় হলেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, রেশনের মতো সরকারি পরিষেবা জারি থাকবে বাংলায়।