Sukanta Majumder: অজ্ঞান অবস্থায় আমার সুরক্ষায় আপস করেছে রাজ্য পুলিশ, তাই স্বাধিকারভঙ্গের নালিশ

রাজ্যে শীর্ষ আমলাদের বিরুদ্ধে কেন স্বাধিকারভঙ্গের অভিযোগ এনেছেন তিনি, ব্যাখ্যা করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। সোমবার এক সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জেড শ্রেণির সুরক্ষা পেলেও টাকিতে অচেতন হয়ে পড়ার পর তাঁকে সুরক্ষা ছাড়া নিজেদের গাড়িতে বসিরহাট নিয়ে গিয়েছিল রাজ্য পুলিশ। এতে তাঁর সুরক্ষার সঙ্গে আপস হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সংসদরত্ন সুকান্ত।

আরও পড়ুন: ৭ মার্চ কলকাতার ৩ মেট্রো লাইনের উদ্বোধন? আসছেন মোদী, যেতে পারবেন গঙ্গার তলা দিয়ে

এদিন সুকান্তবাবু বলেন, ‘কে ধাক্কা দিয়েছে সেটা বড় কথা নয়। যতক্ষণ রাজনৈতিক সংঘাত চলছিল তার জন্য আমি পুলিশকে দায়ী করছি না। সুকান্ত মজুমদারের ওপর লাঠি চার্জ করুন, পা ভাঙুন, হাত ভাঙুন, কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু আমি অসুস্থ হওয়ার পর পুলিশ কী করেছে? প্রথমত, আমার গাড়িতে আমাকে হাসপাতালে যেতে দেয়নি। আমার গাড়িকে আটকে দেওয়া হয়েছে। দম থাকলে পুলিশ বলুক, আমি মিথ্যে কথা বলছি। আমার গাড়িতে পুলিশ উঠে যেতে পারত। বা আমার গাড়িকে সামনে পিছনে পুলিশ দিয়ে ঘিরে দিত। যাতে আমি অজ্ঞান অবস্থায় অন্য কোথাও চলে না যাই’।

স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ আনার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে আমি জেড শ্রেণির সুরক্ষা পাই। নিশ্চই কোনও কারণ আছে। গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে নিশ্চই। সরকার তো আর খেলা করার জন্য দেয়নি। আমাকে পুলিশের গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয় ২ জন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীকে সঙ্গে নিয়ে। তাদের কাছে ছোট আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। আমার আপ্তসহায়ককে গাড়িতে উঠতে দেওয়া হয়নি। আমার নিরাপত্তারক্ষীরা বাংলা জানে না। তাদের আমার স্বাস্থ্যের ব্যাপারে বোঝাবে কে?’

আরও পড়ুন: কাটমানি থেকে MNREGAর টাকা লুঠের অভিযোগ, সেই নেতার ওপরেই সন্দেশখালিতে ভরসা TMCর

তিনি বলেন, ‘মাত্র ২ জন পিএসওকে দিয়ে আমাকে বসিরহাট পর্যন্ত প্রায় ১ ঘণ্টার রাস্তা নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময় আমার গাড়ির পিছনে যে এসকট গাড়ি থাকে, যাতে ৬ জন সিআইএসএফ জওয়ান থাকে তাদের আসতে দেওয়া হয়নি। এই ১ ঘণ্টা আমার নিরাপত্তায় যে গাফিলতি হল তা স্বাধিকারভঙ্গের মধ্যে পড়ে। এর জবাব কে দেবে?’