এক লক্ষ টাকা করে সাহায্য ঘোষণা করলেন রাজ্যপাল, চোপড়ার ঘটনায় বিএসএফের কাছে রিপোর্ট তলব

তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি মেনে আজ, মঙ্গলবার চোপড়ায় যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এখানে এসেই চার শিশুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল। প্রত্যেক শিশুর পরিবারকে ১ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন রাজভবনের বাসিন্দা। সন্দেশখালি ইস্যু নিয়ে বিরোধীরা পরিবেশ সরগরম করে রাখতে চাইছে। তার মধ্যেই সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল। তখনই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়, সন্দেশখালি গেলেও চোপড়ায় কেন গেলেন না রাজ্যপাল? এই চার শিশুর মৃত্যুর জন্য বিএসএফকে দায়ী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পাশে থাকার বার্তা দিয়ে নিজের মোবাইল নম্বর দেন। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

এদিকে কৃষ্ণগঞ্জ থেকে চোপড়ায় আসেন ট্রেনে। তারপর পরিবারগুলির কাছে আসেন সড়কপথেই। রাজভবন সূত্রে এই খবর মিলেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি ছিল, যাতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস চোপড়ায় যান এবং নিহত শিশুর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। রাজ্যপাল আজ এখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, চোপড়ার ঘটনায় বিএসএফের থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। দ্রুত এই বিষয়ে বিএসএফের অফিসারদের সঙ্গে কথা হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। প্রত্যেক মৃত শিশুর পরিবারের সঙ্গে পৃথকভাবে কথা বলেন। ফেব্রুয়ারি মাসের ১২ তারিখে এখানে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল।

অন্যদিকে চোপড়ায় শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরাও যান। চোপড়ায় গতকাল যান মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আজ মঙ্গলবার চোপড়ায় যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান রাজ্যের মন্ত্রী গুলাম রব্বানি এবং জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। রাজ্যপাল জানান, যা দেখলেন, শুনলেন সবটাই নয়াদিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে জানাবেন। এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল বলেন, ‘‌প্রত্যেক পরিবারকে এক লক্ষ টাকা সাহায্য ঘোষণা করছি। বিএসএফের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ শুনেছি। রিপোর্ট চেয়েছি। কথা বলব বিএসএফ কর্তাদের সঙ্গেও।’‌ এখন বিএসএফ কেমন রিপোর্ট দেয় সেটাই দেখার।

আরও পড়ুন:‌ ‘মহিলা বন্দিদের কালিমালিপ্ত করার চরম পথ’‌, জেলে অন্তঃসত্ত্বা হওয়া নিয়ে কড়া কলকাতা হাইকোর্ট

এছাড়া বিএসএফ কাউকে কিছু না জানিয়ে চোপড়ায় বাচ্চাদের খেলার জায়গায় গভীর গর্ত খোঁড়ার কাজ করছিল বলে অভিযোগ। সেখানে শিশুরা খেলতে গিয়ে গর্তে পড়ে যায় এবং মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় বিএসএফের বিরুদ্ধে চরম গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সফরে এসে এমনই অভিযোগ তোলেন এবং তদন্তের দাবি করেন। তারপরই বিপাকে পড়ে যায় বিএসএফ। কারণ এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসুক চায়নি বিএসএফ বলে অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রী গর্জে ওঠার পর বিষয়টি নিয়ে রাজ্য–রাজনীতি সরগরম হয়ে ওঠে। আর আজ এখানে রাজ্যপাল এসে বলেছেন, ‘‌চোপড়া নিয়ে বিএসএফের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছি। আশা করছি বিএসএফের সঙ্গে কথা হবে।’‌