Aadhaar card inactive: শুভেন্দু-সুকান্তের আশ্বাসের পরও মিলল না স্বস্তি, বাগদায় নিষ্ক্রিয় ৩৩ আধার কার্ড

সোমবার রাতের মধ্যেই নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়া সমস্ত আধার কার্ড ফের সক্রিয় হয়ে যাবে। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণ আধার কার্ডগুলি নিস্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিল। কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলা পর এমনটাই আশ্বাস দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সোমবার বেলা গড়াতে না গড়াতেই দেখা গেল বনগাঁর হেলেঞ্চায় একটি গ্রামে ৩৩ জনের কাছে আধার কার্ড বাতিলের চিঠি এসেছে। এই চিঠি পেয়ে রীতিমতো আতঙ্কিত ওই গ্রামবাসীরা।  

বাগদার হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরাতন হেলেঞ্চা  গ্রামে মতুয়া সম্প্রদায়ের ৩৩ জনের কাছে আধার বাতিলের চিঠি এসেছে। এর ফলে ভয় ও আতঙ্ক গ্রাস করেছে গ্রামবাসীদের। 

রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে ইতিমধ্যেই আধার কার্ড বাতিলের চিঠি এসেছে। তবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের আশ্বাসে স্বস্তি পেয়েছিলেন বাসিন্দারা। কিন্তু ফের নতুন করে আধার কার্ড নিস্ক্রিয় হয়ে যাওয়া আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাসিন্দার মনে। 

হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য রঞ্জিত বিশ্বাস সাংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এই এলাকায় বেশিরভাগই মতুয়া সম্প্রদায়ের বসবাস। গ্রামের ৩৩ জনের কাছে আধার কার্ড বাতিলের চিঠি এসেছে। সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। নানা পরিষেবা থেকে তাঁরা বঞ্চিত হবেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রতিবেশীরাও নানা কটুক্তি করছেন।  

পড়ুন। আধার কার্ড নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী

এর আগে কার্ড বাতিল হয়ে যাওয়া পুরাতন হেলেঞ্চার বাসিন্দা মহানন্দ বিশ্বাস বলেন, ‘আধার কার্ড বাতিল হওয়ার ফলে রেশন মিলছে না। ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারছি না। নানা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত আমরা। আমি চাই আবার আমার আধার কার্ড নথিভুক্ত করা হোক। ’

কিছুদিন ধরেই রাজ্যে আধার কার্ড বাতিল নিয়ে চিঠি আসছে। তা নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছ। আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা পাপকদের মধ্যে। এমন একটি সময় এই ঘটনা হল, যখন রাজ্য সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা জব কার্ড হোল্ডারদের পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, সমস্যার সমাধনে বিকল্প ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার।  বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রো মোদীকে চিঠি লিখেছেন তিনি। 

এই আধার বাতিল হয়েছে মূলত, সংখ্যালঘু, মতুয়া ও তফসিলি জাতি-উপজাতি নাগরিকদরে। প্রাসঙ্গিক ভাবে, এই ঘটনার পর সিএএ আতঙ্ক ছড়িয়েছে তাদের মধ্যে। ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তাদের মধ্যে।