Family dispute: পারিবারিক অশান্তির জেরে কাকার পরিবারের ৩ জনকে কাটারির কোপ যুবকের

পারিবারিক অশান্তির জেরে ঘটল রক্তারক্তি কাণ্ড। একই পরিবারের তিনজনকে ধারালো কাটারির কোপ মারার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে, এই ঘটনার জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন গ্রামের উত্তেজিত জনতা। তারা যুবক এবং তার প্রথম পক্ষের স্ত্রীর উপর চড়াও হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই মহিলা পাড়ার পরিবেশকে নষ্ট করছে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের সগরভাঙা গ্রামে। কোকওভেন থানার পুলিশ এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে।

আরও পড়ুন: জমি বিবাদে দাদার ঠোঁট কামড়ে ছিঁড়ে নিল ভাই

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত সোমবার রাতে। অভিযুক্ত যুবক বাপ্পা দাসের সঙ্গে তার কাকার প্রতিদিনই ঝগড়া হতো। সোমবার রাতেও তাদের মধ্যে বচসা বাঁধে। এরপর আচমকা কাটারি নিয়ে কাকার উপর চড়াও হয় বাপ্পা। তারপরে তাড়া করে কাকা, কাকিমা এবং কাকার ছেলেকে কাটারির কোপ বসাতে থাকে বাপ্পা। ঘটনায় চিৎকার চেঁচামেচি শুনে বাইরে বেরিয়ে এসে স্থানীয়রা ৩ জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। পরে অবশ্য বাপ্পাকে ধরে ফেলে উত্তেজিত জনতা। এই অবস্থায় তিনজনকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পরে কোকওভেন থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

অন্যদিকে, স্থানীয়রা বাপ্পা এবং তার স্ত্রীর ওপর চড়াও হয়। এর পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়রা। বাপ্পা দাসের প্রথম স্ত্রীকে সামনে পেয়ে চড়াও হন উত্তেজিত জনতা। তাদের বক্তব্য, এই মহিলার জন্যই যতসব কাণ্ড। এই অশান্তির জন্য মহিলাই দায়ী। তাকে পুলিশের গাড়িতে তোলার সময় স্থানীয়রা মারধর করেন। পরে কোকওভেন থানার পুলিস ওই মহিলা-সহ পরিবারের চার জনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহতদের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে।