HS exam 2024: জলের বোতল ও বোর্ড নিয়ে ঢুকতে মানা, মালদায় উত্তেজনা উচ্চমাধ্যমিকে

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষকদের সঙ্গে তুমুল বচসায় জড়িয়ে পড়লেন অভিভাবকরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মহেন্দ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। মূলত পরীক্ষাকেন্দ্রে জলের বোতল ও পিচবোর্ড প্রবেশের অনুমতি না দেওয়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে ঝামেলা বাঁধে। ঘটনার খবর পেয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরও পড়ুন: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় দুটি ক্যামেরার নজরদারি, বাড়তি জোর প্রশ্নপত্র সুরক্ষায়

অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রথম দিন কেন্দ্রে পিচবোর্ড নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিলেও আজ দ্বিতীয় দিন হঠাৎ করে জলের বোতল ও পিচবোর্ড নিয়ে যেতে বাধা দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুল থেকে জল খেয়ে প্রথমদিন অসুস্থ হয়ে পড়েন এক পরীক্ষার্থী। ফলে আজ পিচবোর্ড ও জলের বোতল নিয়ে যাওয়ার অনুমতি না দেওয়ায় চরম সমস্যায় পড়েছেন পরীক্ষার্থীরা। আর এই নিয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে তুমুল বচসা বাঁধে। শেষমেশ অনেক পরীক্ষার্থী পিচবোর্ড ছাড়াই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে বাধ্য হন। জানা গিয়েছে, তুলসীহাটা উচ্চ বিদ্যালয় ও দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্র পড়েছে মহেন্দ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে।

এ বিষয়ে ইমতিয়াজ আলি নামে এক অভিভাবকের অভিযোগ, প্রথম দিন পিচবোর্ড এবং জল নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, দ্বিতীয় ঘটে বিপত্তি। এদিন পিচবোর্ড এবং জল নিয়ে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। তার অভিযোগ বোর্ডের তরফে এরকম কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে তা কোনওভাবে স্কুল দেখাতে পারেনি। তারা নিজেরাই এই নিয়ম এনেছে। তাছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে বোর্ডেই পরীক্ষা দিতে অভ্যস্ত হয়ে রয়েছে পড়ুয়ারা। এই অবস্থায় বোর্ড না থাকলে তারা সমস্যার মধ্যে পড়বে। যদিও স্কুলের দাবি, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে আগেই জানানো হয়েছে, স্বচ্ছ বোর্ড ছাড়া প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। পরীক্ষার আগে শিক্ষকদের যে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, প্রতিটি স্কুলের দায়িত্ব হল তাদের ছাত্রদের এ বিষয়ে অবগত করা। স্কুলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রথম দিন সকলকে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। তখনই জানানো হয়েছিল যে দ্বিতীয় পরীক্ষার দিন অনুমতি দেওয়া হবে না। তৃতীয় পরীক্ষা থেকে আর কোনওভাবেই অনুমতি দেওয়া হবে না বলে স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে।