Jail food list: মাছের আঁশ ছাড়ালে ওজন কমে, বন্দিদের খাদ্য তালিকা নিয়ে সাফাই কারামন্ত্রীর

জেলবন্দিদের খাদ্য তালিকায় কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী অভিযোগ তুলেছিলেন, কয়েদিদের মেনুতে পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার থাকে না বা মাছ খুবই পাতলা থাকে। সেই অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দিলেন কারামন্ত্রী অখিল গিরি। তিনি জানিয়েছেন, কয়েদিদের খাদ্য তালিকায় মাছের ওজনে ফাঁকি দেওয়া হয় না। ৭৫ গ্রাম মেপে মাছ কাটা হয়। আর তারপরে আঁশ ছাড়ানো হয়।

আরও পড়ুন: এত পাতলা, যে মাছ কাটতে হাত কাটবে! জেলে খাবার কেমন, শোনালেন নওশাদl

বিধানসভার অধিবেশনে জেলের কয়েদিদের জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছিলেন নওশাদ সিদ্দিকী। তাঁর অভিযোগ ছিল, কয়েদিদের জন্য মাছ খুবই পাতলা করে কাটা হয়। ফলে তারা পর্যাপ্ত পুষ্টি পাচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে নওশাদের অভিযোগ শুনে অধিবেশন চলাকালীনই জবাব দিয়েছিলেন কারামন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, নওশাদের অভিযোগ ঠিক নয়। তিনি খোঁজ নিয়েছেন। পরে অধিবেশন থেকে বেরিয়ে সরাসরি প্রেসিডেন্সির জেল সুপারকে ফোন করে এবিষয়ে জানতে চান কারামন্ত্রী। প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্সি জেলে দেড় মাস ধরে বন্দি ছিলেন নওশাদ সিদ্দিকী। নিজের সেই অভিজ্ঞতার কথায় তুলে ধরেন বিধানসভার অধিবেশনে। তাঁর বক্তব্য, তাঁকেও মেনুতে পাতলা মাছ দেওয়া হয়েছিল। কারামন্ত্রী জানান, অধিবেশন পক্ষ থেকে বেরিয়ে তিনি প্রেসিডেন্সির সুপারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, ৭৫ গ্রাম ওজনের মাছ কাটা হয়। তারপরে আঁশ ছাড়ানো হয়। আর আঁশ ছাড়ালে মাছের ওজন কিছুটা কমবে বলেই যুক্তি দিয়েছেন কারামন্ত্রী। প্রসঙ্গত, জেলবন্দিদের খাবারের গুণগত মান নিয়ে অভিযোগ শুধু নওশাদের।নয়, এই নিয়ে অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

কারামন্ত্রীর দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, প্রতিদিন বন্দিদের জন্য বরাদ্দ থাকে ২৫০ গ্রাম চাল, ১০০ গ্রাম ডাল, ৩০০ গ্রাম সবজি। আর সঙ্গে ১০০ গ্রাম আলু। এছাড়াও সপ্তাহে একদিন মাছ দেওয়া হয় বন্দিদের, যার পরিমাণ হল ৭৫ গ্রাম এবং সমপরিমাণ মাংস দেওয়া হয়। বন্দিদের জন্য বিকেলের চায়ের সঙ্গে চারটে বিস্কুট দেওয়া হয়। টিফিনে মুড়ির সঙ্গে বাদাম ও ডাল ভাজা বরাদ্দ থাকে। যারা নিরামিষভোজী তাদের জন্য এক পোয়া দুধের ব্যবস্থা থাকে। মন্ত্রীর কথায়, কোনওভাবে কোন ফাঁকি দেওয়া হয় না। যেদিন খাদ্য তালিকায় যা থাকে তা সবটাই হিসেব মতো দেওয়া হয় বন্দিদের।