Sukanta Majumder: বাঙালির টাকায় বাঙালির ওপর অত্যাচার করছেন ‘বহিরাগত’, ‘গুটখাখোর’ মুখ্যসচিব ও ডিজি

বাঙালির করের টাকায় বাঙালির ওপর অত্যাচার করছেন ‘বহিরাগত’, ‘গুটখা খোর’ মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি। তাঁর আনা স্বাধিকারভঙ্গের অভিযোগে রাজ্যের ২ শীর্ষ আমলার হাজিরা রুখতে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের দামি আইনজীবী নিয়োগ করাকে এই ভাষাতেই আক্রমণ করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সোমবার সংসদের স্বাধিকার সমিতির সামনে হাজিরা রুখতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা ও রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। তাঁদের আবেদনের ভিত্তিতে হাজিরায় ৪ সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত।

আরও পড়ুন: কাটমানি থেকে MNREGAর টাকা লুঠের অভিযোগ, সেই নেতার ওপরেই সন্দেশখালিতে ভরসা TMCর

এদিন সুকান্তবাবু বলেন, ‘কপিস সিব্বল আজ আদালতে সওয়াল করে সাময়িক স্থগিতাদেশ এনেছেন। এর পর আমাদের উকিলরা আমাদের বক্তব্য বলবে। চোখে চোখ রেখে প্রশ্ন করবে। কপিল সিব্বল না কি বলেছেন আমি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করেছি। মিথ্যে কথা বলেছেন। টাকিতে কোথাও ১৪৪ ধারা ছিল না।’

তিনি বলেন, ‘কপিল সিব্বল একদিন দাঁড়ালে পরে ৭ – ১০ লক্ষ টাকা নেন। পশ্চিমবঙ্গের জনগণের টাকা খরচ করে গোপালিকা সাহেব আর রাজীব কুমার সাহেব, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী শুধু ‘বহিরাগত বহিরাগত’ বলেন, এরা তো সবার আগে বহিরাগত। এরা তো বাঙালি না। বাঙালির টাকায় এরা বাঙালিদের অত্যাচার করবে, আর বাঙালির ট্যাক্সের টাকায় উকিল রাখবে এ তো চলতে পারে না। সুকান্ত মজুমদার তো বাঙালি। বিপি গোপালিকা, রাজীব কুমার তো বাঙালি না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় ওরা তো গুটখা খোর। আজকে বাংলা – বাঙালি কোথায় গেল?’

আরও পড়ুন: ৭ মার্চ কলকাতার ৩ মেট্রো লাইনের উদ্বোধন? আসছেন মোদী, যেতে পারবেন গঙ্গার তলা দিয়ে

বলে রাখি গত বুধবার সরস্বতী পুজোর দিন টাকি থেকে সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেন সুকান্তবাবু। টাকিতে যে হোটেলে তিনি ছিলেন তার সামনেই সুকান্তবাবুকে বাধা দেয় পুলিশ। এর পর পুলিশের গাড়ির বনেটে উঠে পড়েন সুকান্তবাবু। পুলিশকর্মীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির সময় বনেট থেকে পড়ে জ্ঞান হারান তিনি। এর পর নিজেদের গাড়িতে প্রায় বিনা নিরাপত্তায় সুকান্তবাবুকে টাকি থেকে বসিরহাট নিয়ে আসে পুলিশ। এতে জেড শ্রেণির নিরাপত্তা বেষ্টনীতে থাকা সুকান্তবাবুর নিরাপত্তায় গাফিলতি হয়েছে বলে অভিযোগ।