রাণীশংকৈলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন হয়নি অধিকাংশ সরকারি অফিসে

২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সকল সরকারি ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নির্দেশনা দেয়া হলেও তা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মানা হয়নি ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অধিকাংশ সরকারি অফিসেই উত্তোলন করা হয়নি জাতীয় পতাকা। উপজেলা প্রশাসনের তদারকি না থাকায় এমনটা হয়েছে বলে মনে করছেন সুশীল সমাজ। অনেকে বলছেন- জাতীয় দিবসে সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন না করা জাতীয় পতাকা অবমাননার শামিল।

যার মধ্যে রাণীশংকৈল ৭টি সরকারি দপ্তরে তোলা হয়নি জাতীয় পতাকা। বুধবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি স্ব-স্ব সরকারি,বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধ-নির্মিতভাবে তোলার নির্দেশনা থাকলেও বিশেষ করে তা মানেননি রানীশংকৈল উপজেলার এই সাতটি দপ্তর। 

দপ্তরগুলো হলো,উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, উপজেলা সমবায় অধিদফতর, উপজেলা হিসাবরক্ষণ অধিদফতর, উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদফতর, উপজেলা পরিসংখ্যান অধিদফতর ও উপজেলা তথ্য কেন্দ্র তথ্য আপা দপ্তর। এদিকে প্রতিবেদকের উপস্থিতি টের পেয়ে উপজেলা নির্বাচন দপ্তর ও উপজেলা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরে বেলা সাড়ে ১১টায় পতাকা উত্তোলন করা হয়। 

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জজ কোর্টের আইনজীবী এ্যাড. আবু সায়েম বলেন, বিধি মোতাবেক পতাকা উত্তোলন না করা জাতীয় পতাকা অবমাননার শামিল। ২০১০ সালে সংশোধিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন আইন অনুযায়ী জাতীয় পতাকা অবমাননায় সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত শাস্তি এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু তার বাস্তবায়ন নাই।

সহকারি অধ্যাপক আসাদুজ্জামান বলেন, শহীদ দিবসে সরকারি অফিসে জাতীয় পতাকা তোলা হয় না, এটা ভাবা যায়। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।

এ বিষয়ে রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম বলেন, দেশে আইন আছে প্রয়োগ নেই। বিজয় দিবসে সরকারি অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি এটা মেনে নেয়া যায় না।

এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রকিবুল হাসান জানান, আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব তারা এখন পতাকা উত্তোলন করেছে।

 



শাকিল/সাএ