‘সুষম উন্নয়ন নিশ্চিতে ঐতিহ্যকে ধারণ করে এগোতে হবে’

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ঐতিহ্যকে ধারণ ও লালন করে এগোতে হবে। বাঙালি সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে আমাদের ঋদ্ধ ঐতিহ্য। নান্দনিকতা ও  ঐতিহ্যের জন্যই ঢাকা বারবার হয়েছে এ অঞ্চলের রাজধানী। তিনি বলেন, ‘ঢাকার মতোই এদেশের প্রতিটি অঞ্চলের রয়েছে আলাদা কৃষ্টি, সংস্কৃতি, সৌন্দর্য— যা বাংলাদেশকে করেছে ঐশ্বর্য মণ্ডিত।’

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জে অধ্যাপক হামিদুর রহমান  সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও আঁলিয়স ফ্রঁসেজের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘পুরান ঢাকা থেকে শেখা: জীবন্ত ঐতিহ্যগুলোর ভবিষ্যৎ অনুসন্ধান’ শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদী, জীবন -জীবিকা ও শহরের রয়েছে অবিচ্ছিন্ন সম্পর্ক। ঢাকার সঙ্গে  বুড়িগঙ্গার রয়েছে এমনই এক আত্মীয়তা। বুড়িগঙ্গাকে ঘিরেই ঢাকা বেড়েছে, বিকশিত হয়েছে। ঢাকার স্থাপত্য শৈলী ও ঐতিহ্যকে সমন্বিত এবং সম্মিলিতভাবে রক্ষা করতে হবে। কোনও অবস্থাতেই একে ঝুঁকিতে পড়তে দেওয়া ঠিক হবে না।’

ঢাকায় ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘ফরাশগঞ্জ ছিল ফরাসিদের আবাসস্থল।’

মোগল আমলের রূপান্তর এবং আশেপাশের এলাকাগুলোর অর্থনৈতিক  চালিকাশক্তির বিবর্তন, আরমানিটোলা পাড়ার আশেপাশের প্রকাশ্য উন্মুক্ত স্থানগুলোর শ্রেণিবিন্যাস, শাঁখারী কারিগরদের  নির্মাণশৈলী ও হারানো কারুকাজ ধরে রাখা, তাঁতিবাজারের সোনার গহনা নির্মাণ শৈলী, বাংলা বাজারের বই ও বাংলা ভাষা এখনও যেভাবে ধরে রাখা হয়েছে, মঙ্গলাবাসরে জমিদারের প্রসারের রূপান্তর এই প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে।

এ সময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আঁলিয়স  ফ্রঁসেজ ঢাকা কেন্দ্রের পরিচালক ফ্রাঁসোয়া গ্রোজজিন।