Child Marriage: স্যার আমায় বাঁচান! জোর করে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে, হেডমাস্টারকে ফোন বাংলার কন্যাশ্রীর

সবে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে এক ছাত্রী। আর সেই নাবালিকারই বিয়ে ঠিক করে ফেলেছিল পরিবার। কিন্তু ওই মেয়ে কিছুতেই বিয়ে করতে রাজি নয়। এদিকে বার বার সে বাড়িতে বলেছে, আমি কিছুতেই বিয়ে করব না এখন। কিন্তু বাড়ির লোকও নাছোড়বান্দা। কোনওরকমে মেয়েকে বিয়ে দিতে পারলেই কেল্লা ফতে। এদিকে বিয়ে আটকাতে এবার নিজেই তৎপর হল শালবনির ওই কন্যাশ্রী।

নাবালিকাদের যাতে কোনওভাবেই বিয়ে দেওয়া না হয় সেকারণে গোটা বাংলা জুড়ে নানাভাবে প্রচার করা হয়। কিন্তু বাস্তবে কিছুক্ষেত্রে দেখা যায় লুকিয়ে চুরিয়ে নাবালিকা কন্যাকে বিয়ে দিয়ে দেন অভিভাবকরা। এমনকী অনেক সময় বয়স গোপন করেও বিয়ে দেওয়া হয়। সেরকমই শালবনীর ওই ছাত্রী এবারই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। কিন্তু তার বাড়ির লোকজন তার বিয়ে ঠিক করে ফেলেছিলেন। এদিকে বার বার এই বিয়েতে আপত্তি জানিয়েছিল ওই ছাত্রী। কিন্তু বাড়ির লোকজনকে কিছুতেই বোঝাতে পারেনি সে। এদিকে মঙ্গলবার রাতেই তার বিয়ে হওয়ার কথা। কিন্তু কীভাবে এই বিয়ে আটকানো যায় তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিল না ওই নাবালিকা। 

এরপরই সে চুপি চুপি স্কুলের হেডস্যারকে ফোন করে। ওই ছাত্রী হেড স্যারকে বলে যে জোর করে তাকে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে বাড়ির লোকজন। কিন্তু সে কোনওভাবেই এখন বিয়ে করতে চায় না। সে পড়াশোনা করতে চায়। মঙ্গলবার সকাল ৯টা নাগাদ এই ধরনের একটি ফোন পান হেডস্যার। এরপর তিনি আর দেরি করেননি। দ্রুত কন্যাশ্রী ক্লাব, পুলিশ, ব্লক অফিসে জানিয়ে দেন তিনি। এরপরই কন্যাশ্রী ক্লাবের সদস্যদের নিয়ে তিনি ওই বাড়িতে চলে যান। পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরাও দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে যান। কেন এভাবে মেয়ের কম বয়সে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে স্কুল। এদিকে যার সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল সে আবার ওই স্কুলেরই ছাত্র। তাকেও সতর্ক করে দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

এদিকে ওই মেয়েটির বয়স মাত্র ১৭ বছর। এই বয়সে বিয়ে দেওয়া একেবারেই আইন সম্মত নয়। এদিকে বাড়ির লোকজন প্রথমে বিয়ের দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে একথা মানতে চাননি। পরে প্রশাসনের চাপে তাঁরা স্বীকার করে নেন বিষয়টি। এরপরই বাড়ির লোকজনের কাছ থেকে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া হয়। কোনওভাবেই যাতে এই কম বয়সে বিয়ে দেওয়া না হয় সেব্যাপারে তাঁদের সতর্ক করে দেওয়া হয়।